মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য দীর্ঘ পাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র আপাতত ইউক্রেনকে দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন না তিনি। যুদ্ধ আরও বাড়ুক, এমনটি চান না তিনি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্র নেটো জোটের সদস্যদের কাছে টমাহক বিক্রি করবে আর ওই রাষ্ট্রগুলো এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে পাঠাবে, এমন একটি পরিকল্পনার বিষয়ে ট্রাম্প কোনো আগ্রহ দেখাননি। আর রবিবার তাকে বহনকারী আকাশযান ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ এ সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন তাতেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে তিনি ওই পরিকল্পনা নিয়ে উৎসাহী নন।
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ফ্লোরিডার পাম বিচে উড়ে যাওয়ার সময় ওই ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির জন্য তিনি একটি চুক্তির কথা বিবেচনা করছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, “না। মোটেই না।” তবে তিনি ‘মন পরিবর্তন করতে পারেন’ বলে জানিয়েছেন।
নেটোর মহাসচিব মার্ক রুট ২২ অক্টোবর হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার পর তারা এই টমাহক ধারণা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। শুক্রবার রুট জানিয়েছিলেন, বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে আর যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের ওপর এটি নির্ভর করছে।
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২৫০০ কিলোমিটার (১৫৫০ মাইল)। এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোসহ দেশটির অনেক গভীরে আঘাত হানা সম্ভব।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু ইউক্রেনকে টমাহক দেওয়ার বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি জানিয়েছে রাশিয়া।
ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার জন্য হোয়াইট হাউজকে সবুজ সংকেত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন। ইউক্রেনকে এই ক্ষেপণাস্ত্র দিলে যুক্তরাষ্ট্রের নিজেদের অস্ত্রভান্ডারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না, সেটি মূল্যায়ন করে দেখার পর এই ছাড়পত্র দিয়েছে তারা।
তবে পেন্টাগনর টমাহক সরবরাহের বিষয়ে চূড়ান্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর ছেড়ে দিয়েছে বলে বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন তিনজন মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম