দিনাজপুর শহরের পুলহাট থেকে সিকদারহাট হয়ে খানপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান দ্বিতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে। রবিবার থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান সোমবারও (৩ নভেম্বর) পরিচালনা করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।
উচ্ছেদ অভিযানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ছোট দোকানদার ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা সরকারের কাছে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন। সোমবার সকালে শহরের রূপম মোড় এলাকা থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের অভিযান।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এই উচ্ছেদ কার্যক্রমে ছোট-বড় প্রায় দুই হাজার দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা হবে, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার। উচ্ছেদে বেকার হয়ে পড়া ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসনের দাবি তুলেছেন।
সওজ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮৩ বছর আগে ১৯৪২ সালে ওই জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ২০০২ সালেও গেজেট প্রকাশের পর উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, তবে আইনি জটিলতায় অভিযান স্থগিত ছিল। এবার পুনরায় নোটিশ, মাইকিং ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জমিগুলো ১৯৪২ সালে গেজেটভুক্ত হয়েছে। তাই এগুলোর মালিকানা দাবির সুযোগ নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি জানান, এস্কেভেটর-ভেকুসহ শতাধিক শ্রমিক এই অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। সহায়তায় রয়েছে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও ফায়ার সার্ভিস। এর আগে সড়ক বিভাগ সার্ভে করে উচ্ছেদযোগ্য স্থাপনায় লাল দাগ চিহ্নিত করে।
উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপসচিব (এস্টেট ও আইন) মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল