যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড বলেছেন, “ওয়াশিংটনের সরকার পরিবর্তন ও রাষ্ট্র পুনর্গঠননীতির যুগ শেষ হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র এখন গণতন্ত্র রফতানির বদলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।”
গত শুক্রবার বাহরাইনে আয়োজিত বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলন ‘মানামা ডায়ালগ’-এ যোগদানের আগে তুলসী গ্যাবার্ড সাংবাদিকদের বলেন, দশকের পর দশক ধরে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি এক অন্তহীন ও প্রতিকূল চক্রে আবদ্ধ ছিল—যেখানে একের পর এক সরকার উৎখাত, রাষ্ট্র গঠন, এবং অজানা সংঘাতে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আমরা মিত্রের চেয়ে শত্রু বেশি সৃষ্টি করেছি। এর ফলাফল হয়েছে ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়, অসংখ্য প্রাণহানি এবং অনেক ক্ষেত্রে আরও বড় নিরাপত্তা হুমকির উদ্ভব।
তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে মধ্যপ্রাচ্যে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিস্তারের পুরোনো লক্ষ্যগুলো এখন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা, যা ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করেছে এবং মার্কিন বিমান হামলার পর ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে অবসান ঘটানো।
মার্কিন সেনাবাহিনীর ন্যাশনাল গার্ডের সাবেক কর্মকর্তা গ্যাবার্ড বলেন, এখন আমরা আর সেই ‘সব দেশে একই প্যাটার্নে শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া’র নীতি অনুসরণ করছি না।
তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি ভঙ্গুর হলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় নতুন গতিবিধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলতে পারে।
তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, পথটি কঠিন হবে, কিন্তু প্রেসিডেন্ট এই পথে এগিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, ডেইলি সাবাহ
বিডি প্রতিদিন/একেএ