সুদানের দারফুর অঞ্চল থেকে পূর্বদিকে কোরদোফানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে চলমান গৃহযুদ্ধ। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, গত ২৬ থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে উত্তর কোরদোফানের পাঁচটি এলাকা থেকে কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৮২৫ জন বেসামরিক মানুষ নিরাপত্তা জায়গার খোঁজে পালিয়ে গেছে।
সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যকার এই যুদ্ধ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকেই চলছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কেন্দ্রীয় কোরদোফান নতুন করে সংঘাতমুখী অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এই অঞ্চল কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি দারফুর প্রদেশ এবং রাজধানী খারতুমের মধ্যবর্তী অবস্থানে অবস্থিত।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে দারফুরের শেষ সেনা-শক্ত ঘাঁটি এল-ফাশার দখলে নেয় আরএসএফ। এরপর থেকেই তারা নিজস্ব প্রশাসন গড়ে তুলেছে। ফলে পোর্ট সুদানে অবস্থানরত সেনাপন্থী সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, উত্তর কোরদোফানের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে আরএসএফ এবং সেনাবাহিনীর অস্ত্রবাহী যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। এল-ওবেইদ, কোরদোফানের রাজধানী ও সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক কেন্দ্র, বর্তমানে দুই পক্ষের প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
আরএসএফ দাবি করেছে যে তারা সম্প্রতি বারা শহর দখল করেছে। একটি ভিডিও বার্তায় আরএসএফ সদস্যদের বলতে শোনা যায়, তাদের বাহিনী এখন এই ফ্রন্টে অবস্থান করছে। সাধারণ নাগরিকদের সামরিক এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উম স্মাইমা এলাকার বাসিন্দা সুলাইমান বাবিকার বলেন, এল-ফাশার দখলের পর থেকে আরএসএফের গাড়ির সংখ্যা আমাদের এলাকায় প্রচুর বেড়েছে। আমরা সংঘর্ষের ভয়ে আর জমিতে কাজ করতে যেতে পারি না।
অনেকেই জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর ভারী অস্ত্র ও কনভয়ের উপস্থিতিও বেড়েছে। জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মার্থা পবী সতর্ক করে বলেছেন, কোরদোফান হতে পারে যুদ্ধের পরবর্তী প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। তিনি আরএসএফের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা, জাতিগত সহিংসতা এবং গণহত্যার মতো অপরাধের অভিযোগ তুলে ধরেন।
সূত্র: আরব নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল