_.jpg)
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) রবি সিমেন্ট সংলগ্ন ১৪ মিটার দৈর্ঘ্যরে আরসিসি ব্রিজ এবং ৯নং গুপ্ত খালের উপর ২০ মিটার দৈর্ঘ্যরে আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের মেয়াদকাল ছিল ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর। কিন্তু কাজের মেয়াদ শেষে সাড়ে তিনমাস পার হলেও প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ২ এবং ৫ শতাংশ। তবে চসিক নতুন করে কাজের মেয়াদকাল বৃদ্ধি করে বলে জানা যায়।
ব্রিজ দুইটি নির্মাণ না হওয়ায় স্থানীয়রা অন্তহীন দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ দুটির জন্য প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ ও যানবাহনগুলোকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলাচলের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা ‘ডাইভারশন সড়ক’ বা বেইলি ব্রিজের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট।
চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জাইকার অর্থায়নে সিটি গর্ভনেন্স প্রজেক্টের আওতায় ব্রিজ দুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর রবি সিমেন্ট সংলগ্ন ব্রিজের জন্য ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৪ হাজার ৮৫৮ টাকা এবং গুপ্ত খালের উপর ব্রিজ নির্মাণে ১ কোটি ৮৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৬ টাকার কার্যাদেশ দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবরে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত রুবি সিমেন্ট ব্রিজের কাজের অগ্রগতি ২ শতাংশ এবং গুপ্ত খাল ব্রিজের কাজ হয় ৫ শতাংশ। তবে ব্রিজ দু’টি নির্মাণের মেয়াদকাল বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে।
চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ প্রকল্পে ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ব্রিজগুলো ভেঙ্গে তা সরিয়ে নেয়া, একটি ব্রিজের নিচ দিয়ে যাওয়া পিডিবির এক হাজার কেভি লাইন থাকা, রোয়ানুর আঘাত, বর্ষা মৌসুম, ব্রিজের ডিজাইন পরিবর্তন, পরিবর্তিত নকশা পেতে বিলম্বসহ নানাভাবে চলে যায় প্রায় ছয় মাস। এ সব কারণে কাজে গতি পায়নি। তবে এখন সব সমস্যা নিরসন করে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গুপ্ত খালের উপর নির্মিত ব্রিজের একপাড়ে চারজন শ্রমিক পুরোনো ব্রিজের পিলারের অংশ ভাঙছেন। পুরোনো ব্রিজের পাশেই রয়েছে আরেকটি বেইলি ব্রিজ। ব্রিজটি দিয়ে কেবল একটি গাড়িই যাতায়াত করতে পারে। এয়ারপোর্টমুখী গাড়িগুলো পার হওয়ার সময় ওই পাশ থেকে আসা গাড়িগুলো আটকে থাকে। একপাশে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। একই চিত্র রবি সিমেন্ট সংলগ্ন ব্রিজেও।
বিডি প্রতিদিন/২৫ জানুয়ারি ২০১৭/হিমেল
