বরিশাল নগরীর কাশীপুরে বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভাই আল আমিনকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে মাদ্রাসা ছাত্র মাহামুদ হাসান হাফিজকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ওই মামলার অপর ৫ আসামী মাদ্রাসা ছাত্রকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেলে বরিশালের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রকিবুল ইসলাম অভিযুক্ত সহ ৩ আসামীর অনুপস্থিতিতে এবং অপর ৩ জনের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। একমাত্র অভিযুক্ত মাহমুদ হাসান হাফিজ ঝালকাঠীর গুয়াটন এলাকার মাওলানা আব্দুস সোবাহানের ছেলে এবং নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের এন.এস আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিলো।
দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারী কৌশলী (এপিপি) দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, বখাটে মাহামুদ হাসান হাফিজ দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী আল-আমিনের দুই বোনকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এনিয়ে হাফিজ ও আল-আমিনের মধ্যে বিরোধ হয়। এর জের ধরে ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর দিন দুপুরে আল-আমিনকে জবাই করে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিনই আল-আমিনের মা আকলিমা বেগম বাদি হয়ে হাফিজ সহ ৬ মাদ্রাসা ছাত্রের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই মোশারেফ হোসেন ২০০৭ সালে আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দেন।
পরে আদালতে ১২জনের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে বিচারক ওই মাদ্রাসা ছাত্র মাহামুদ হাসান হাফিজকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর এবং একই মামলার অপর ৫ আসামী মাদ্রাসা ছাত্র সোলায়মান, নাজমুল, মাইদুল, সাহিদুল ও জাহিদুলকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন।
বিডি প্রতিদিন/২৫ জানুয়ারি ২০১৭/ সালাহ উদ্দীন