জাতীয় অন্ধ সংস্থার মহাসচিব খলিলূর রহমান হত্যা মামলার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী নুরুজ্জামান শুভর ভুয়া মৃত সনদ তৈরি করে আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার এএসআই মোয়াজ্জেম হোসেন এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদন আগ্রগামী করার জন্য স্বাক্ষর করে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এদিকে, আজ সাক্ষী নুরুজ্জামান শুভ হঠাৎ আদালতে হাজির হয়ে ওই মামলায় সাক্ষী দিয়েছেন। পরে বিষয়টি নজরে আনা হলে ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার ৭(সাত) দিনের মধ্যে ময়মনসিংহরে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং এএসআই মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে স্বশরীরে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
মুত্যুর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সাক্ষী নুরুজ্জামান শুভর ঠিকানায় উপস্থিত হইয়া এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া জানা যায় যে, সাক্ষী মৃত্যুবরণ করিয়াছে। বিধায় তাহাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয় নাই। একইসঙ্গে ময়মনসিংহ পৌরসভা থেকে সাক্ষী নুরুজ্জামান শুভর একটি মুত্যু সনদ দাখিল করা হয়। মুত্যুর তারিখ দেওয়া হয়, ২৮/০২/২০১৫।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জীবিত সাক্ষী নুরুজ্জামানই মামলার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী এবং এই সাক্ষী যাতে আদালতে উপস্থিত হতে না পারে, সে জন্য ময়মনসিংহ কোতয়ালী মডেল থানাকে আসামি পক্ষ ম্যানেজ করেছে বলে আদালতে বাদী পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। সাক্ষী মৃত্যুর প্রতিবেদনও জাল মৃত্যু সনদ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবহা গ্রহনের জন্য একটি লিখিত দরখাস্ত দাখিল করা হয়। এর আগে ২০১১ সালে প্রথম দিকে জাতীয় অন্ধ সংস্থার মহাসচিব খলিলূর রহমানকে খুন করা হয়। পরে এ ঘটনায় মিরপুর থানায় একটি মামলা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার