এমপি শামীম ওসমান ও নাসিক মেয়র আইভীর মধ্যকার দ্বন্দ্ব মেটানোর লক্ষ্যে ‘মুরব্বি’ সেলিম ওসমান এমপি (জাতীয় পার্টি) কিছু প্রশ্নের জবাব খোঁজার চেষ্টা করছেন। তিনি এখনো আইভী বা শামীম কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। দুজনের সঙ্গে তিনি আলাদাভাবে বৈঠকে মিলিত হবেন বলে গতকাল মুঠোফোনে জানিয়েছেন।
সেলিম ওসমান জানান, তিনি যেসব প্রশ্নের জবাব সন্ধান করছেন তার মধ্যে রয়েছে : এই বিরোধের নেপথ্যে কারা আছে, কারা আইভী-শামীম বিরোধে বেনিফিটেড, কীভাবে বিভিন্ন সমস্যা ও দ্বন্দ্বগুলো তৈরি হচ্ছে, আইভী-শামীমের মুরব্বি কারা, মুরব্বিদের মধ্যে কাদেরকে দুজনই মান্য করেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২৮ জানুয়ারি সেলিম ওসমানকে নারায়ণগঞ্জের দুই নেতার মধ্যকার দ্বন্দ্ব মেটানোর দায়িত্ব অর্পণ করেন। ওই দিন দুপুরে ওবায়দুল কাদের গোগনগর ইউনিয়ন এলাকায় অবস্থিত পাথরঘাটে সৈয়দপুর-মদনগঞ্জ রুটে শীতলক্ষ্যা সেতু-৩-এর পিলার নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেছিলেন।
সেলিম ওসমান মন্ত্রীকে বিদায় জানানোর সময় মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আপনি শামীম ও আইভী দুজনেরই মুরব্বি। কোনো নেতা হিসেবে নয়, একজন মুরব্বি হিসেবে আপনাকে দায়িত্ব দিলাম। আমার বিশ্বাস, আপনি দুজনের সঙ্গে বসে একটা সমাধান করে দিতে পারবেন।’
সেলিম ওসমান জানান, তাকে মন্ত্রী বিশ্বাস করেন বলেই দায়িত্বটা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শতভাগ পারব কি না জানি না, তবে প্রাণপণ চেষ্টা করব।’
সেলিম ওসমান দুঃখের সঙ্গে বলেন, ‘সামান্য হকার ইস্যুতে কত বড় তাণ্ডব ঘটে গেল! কারা ঘটাল! কারা আইভীকে টেনে নিয়ে এলো! কারা শামীমকে রাস্তায় নামাল! এদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। দুজনের অমিলের কারণে নারায়ণগঞ্জ বৃহৎ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বন্দরে কনটেইনার পোর্ট হওয়ার কথা ছিল। বিরোধের কারণে তা চলে গেছে পানগাঁও। এমন অনেক ক্ষতি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ শিল্প এলাকা। একসময় এখানে শ্রমিক আন্দোলন লেগেই থাকত। এখন নেই। এর কারণ বিকেএমইএর নেতৃত্ব পাওয়ার পর আমরা শক্ত হাতে তা নিয়ন্ত্রণ করেছি। সেখানে আইভী-শামীম বিরোধ কোনো বিষয়ই নয়।’