বরিশাল নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রুইয়ার পোল এলাকায় স্কুলের পাওনা পরিশোধ করতে না পেরে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
মৃতের নাম সোনিয়া আক্তার (১৩)। সে ওই এলাকার মো. জালাল মিয়ার মেয়ে এবং স্থানীয় নয়গাঁও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
সোনিয়ার ভাই রবিউল ইসলাম জানান, সোনিয়ার কাছে চলতি বছর স্কুলের বকেয়া পাওনার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৮শ’ টাকা। কিন্তু দারিদ্রতার কারণে তাদের কাছে বকেয়া টাকা দেওয়ার কোন উপায় ছিলো না। বকেয়া টাকা দিতে না পারায় শিক্ষকরা বকেয়া টাকার জন্য সোনিয়াকে গালমন্দ করেন। এ নিয়ে সোনিয়ার মন খারাপ ছিলো।
রবিউল আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘরের বাইরে গেলে সোনিয়া একা বাসায় ছিলো। কিছুক্ষণ পর তার মা বাসায় ফিরে দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কোন সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না। পরে তিনি পেছনের দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকে সোনিয়াকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত দেখে ডাক চিৎকার দেন। স্থানীয়রা এসে সোনিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামানোর আগেই তার মৃত্যু হয়। শিক্ষকদের গালমন্দের কারণেই রাগে ক্ষোভে সোনিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তার ভাই রবিউল।
নয়গাঁও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন বলেন, কোন শিক্ষার্থীর কাছে বকেয়া পাওনা থাকলে শিক্ষকরা চাইতেই পারেন। কিন্ত বকেয়ার জন্য তাকে গালমন্দ করা হয়নি। এ ধরনের কোন অভিযোগও তিনি পাননি। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলেও তিনি জানান।
মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিকশনার (কোতয়ালী) মো. রাসেল জানান, স্কুল ছাত্রী সোনিয়ার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের জন্য তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ অক্টোবর, ২০১৮/মাহবুব