মানবদেহের রোগ বালাই প্রতিরোধে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার জিংক সমৃদ্ধ খাদ্য প্রয়োজন। জিংকের অভাবে শিশুরা হাবাগোবা হয়, সারা বছর সর্দি-কাশি লেগে থাকে, চুল পড়ে যায়, পড়াশোনায় মনযোগী হয় না, রুচি থাকে না, বেটে হয়, নখে সমস্যা হয়। গর্ভবতী মায়েদের জন্যও জিংক সমৃদ্ধ খাদ্য প্রয়োজন। আমাদের দেশের বিজ্ঞানীদের আবিস্কৃত জিংক ধানের ভাত মানব দেহের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ জিংকের চাহিদা পূরণ করতে পারে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে জিংক ধানের উৎপাদন হলেও বাজারে পাওয়া যায় না।
বরিশালে ‘জিংক ধানের বাণিজ্যিকীকরণ’ বিষয়ক এক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা জিংক ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বাজারজাতকরণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা পরামর্শমূলক বক্তব্য দেন।
আজ বুধবার সকালে নগরীর সাগরদী ধানগবেষণা ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক আফতাব উদ্দিন।
কৃষি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা হারভেস্ট প্লাসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার কান্ট্রি ম্যানেজার ড. মো. খায়রুল বাশার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- বরিশাল ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন, বরিশাল কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম এবং বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগীয় উপ-পরিচালক ডা. বাসুদেব।
হারভেস্ট প্লাসের কমিউনিকেশন্স অফিসার সৈয়দা নুহারা বেগমের সঞ্চালনায় কর্মশালায় একই সংস্থার গবেষণা ও উন্নয়ক কর্মকর্তা জাহিদ হোসেনসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা ব্যাপক জনগোষ্ঠীর জিংকের চাহিদা পূরণে জিংক ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩০টি বেসরকারি সংস্থা এবং বীজ উৎপাদন ও বাজরজাতকারী ১২টি প্রতিষ্ঠানের সাথে হারভেস্টপ্লাস কাজ করে যাচ্ছে বলেও কর্মশালায় জানান হারভেস্ট প্লাসের কান্ট্রি ম্যানেজার ড. মো. খায়রুল বাশার।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম