২৬ জানুয়ারি, ২০২০ ১৫:২৪

চাঁদা না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে রক্তাক্ত করলেন যুবলীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

চাঁদা না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে রক্তাক্ত করলেন যুবলীগ নেতা
রাজশাহীতে ১০ লাখ চাঁদা না দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের ওপর স্বশস্ত্র হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১ টার দিকে নগরীর মেহেরচন্ডি দায়রাপাঁক এলাকায় ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা ও তার সন্তান গুরুতর আহত হয়েছেন। 
 
আহত ওই মুক্তিযোদ্ধাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত মুক্তিযোদ্ধার নাম ওয়াহেদ উদ্দিন (৬৩) ও তার ছেলে নাহিন ইসলাম। আর হামলাকারীরা হলেন ২৬ নম্বর ওয়ার্ড (পূর্ব ) যুবলীগের সভাপতি আসাদ আলী ও তার ভাতিজা রাসেল। ঘটনার পর আক্রমণকারীরা গা ঢাকা দিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার রাতে চন্দ্রিমা থানায় মামলা করা হয়েছে।
 
আহত মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ উদ্দিন জানান, বছর খানেক আগে মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ উদ্দিন মেহেরচন্ডী দায়রাপাঁক এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রাসেলের মায়ের কাছ থেকে তিন কাঠা জমি কেনেন। এ বছর বাড়ি নির্মাণের আলোচনা শুরু করেন। খবর পেয়ে রাসেল তার চাচা আসাদ আলীকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন সময় ১০ লাখ চাঁদা দাবি করেন, নয়তো বাড়ি বানানোর জন্য সমস্ত ইট আসাদের কাছ থেকে কেনার চাপ দিতে থাকেন।
 
শনিবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ উদ্দিন বাড়ি তৈরির জন্য ট্রাকে করে ইট নিয়ে আসলে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা রাসেল এবং তার চাচা আসাদ বাঁধা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত দুইজন দলবল নিয়ে এসে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে ও তার স্ত্রীসহ উপস্থিত পুরো পরিবারকে গালিগালাজ করতে করতে মারধর শুরু করে। এসময় মুক্তিযোদ্ধা গুরুতর আহত হন ও তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করে। এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাকু দিয়ে মারতে তেড়ে গেলে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে নাহিন বাবাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তিনি চাকুর আঘাতে আহত হন।
 
মুক্তিযোদ্ধার ছেলে নাহিন ইসলাম বলেন, জমি কেনার পর থেকেই স্থানীয় যুবলীগের সভাপতি আসাদ ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। বর্তমানে তার বাবা এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। 
 
চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুম মুনির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর অভিযুক্ত দুইজন গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের ধরতে কাজ করা হচ্ছে।
 
 
 
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর