রাজশাহীতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকেই ফুলে ফুলে ভরে ওঠে রাজশাহীর শহীদ স্মৃতিসৌধগুলো। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা এবং সাধারণ মানুষ পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের।
এদিন রাজশাহী মহানগরীর টি-গ্রোয়েন এলাকায় বাবলাবন বধ্যভূমিতে উদ্বোধক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী সদরের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। তারা এই বধ্যভূমির স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। এদিন সূর্যদয়ের সাথে সাথে প্রশাসন, আবাসিক হল ও অন্যান্য ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৭টায় প্রভাত ফেরি নিয়ে উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম এ বারীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
অন্যদিকে, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (রুয়েট) যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসের প্রথম প্রহরে রুয়েট উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে রুয়েটের শহীদদের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এরপর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পরে দোয়া করে এবং মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে প্রথম প্রহরের কর্মসূচি শেষ হয়। এছাড়াও বাদ যোহর রুয়েট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ