বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার পর মরদেহ সেখানে নেওয়া হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে মরদেহ নেওয়া হয়। এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
অপরাজেয় বাংলায় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজিন আজিজ চৌধুরী, ইংরেজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সংগীত বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে মনজুরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।
রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
১৯৫১ সালের ১৮ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইয়েটসের কবিতায় ইমানুয়েল সুইডেনবার্গের দর্শনের প্রভাব’ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। পেশাগত জীবনে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সর্বশেষ বিভাগটিতে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন