‘বাসের হেলপার গার্মেন্টস কর্মকর্তাকে দেখেও না দেখার ভান করে চালককে সামনে এগিয়ে নিতে বলেন। তখন বাসের নিচে চাপা পড়ে গার্মেন্টস কর্মকর্তা শামছুল আলম মারা যান।’ এভাবেই র্যাবের কাছে হেলপার শাকিল নিজের দোষ স্বীকার করেন বলে জানায় র্যাব।
আজ রবিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব ৪ এর এএসপি জিয়াউর রহমান চৌধুরী। এর আগে শনিবার (১৩ মার্চ) রাত ১০টার দিকে সাভারের জামতলা এলাকা থেকে অভিযুক্ত দুই জনকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন চালক মো. ওয়াসিম ওরফে আল-আমিন (২৫), তিনিশেরপুর জেলার বাসিন্দা। আর বাসের সহযোগী নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা মো. শাকিল (২৮)।
র্যাব ৪ এর এএসপি জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, আসামি ওয়াসিম ওরফে আল-আমিন ঘটনার দিন বাসটি চালিয়ে নরসিংপুর এলাকায় পৌঁছালে সামনে থাকা অপর একটি বাসকে ওভারটেক করার সময় ওই পোশাক কারখানার কর্মকর্তা মারা যান। ওয়াসিম ওরফে আল-আমিনের নিজস্ব কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাস চালাচ্ছিলেন। হেলপার শাকিল একজন নিয়মিত হেলপার। তিনি চালক ওয়াসিম ওরফে আল-আমিনের সাথে হেলপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে গার্মেন্টস কর্মকর্তা শামছুল আলমকে দেখেও না দেখার ভান করে ড্রাইভারকে সামনে এগিয়ে যেতে বলেন শাকিল। তখন বাসের নিচে চাপা পড়েন শামছুল আলম।
তিনি বলেন, আটকদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে শারমিন গার্মেন্টসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শামছুল আলমকে (৪৫) রং সাইডে গিয়ে চাপা দিলে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় বাইপাইল সড়ক অবরোধ করে আনুমানিক ১০ থেকে ১২ টি বাস ভাঙচুর ও ৩টি অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ