রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছী ইউনিয়নের কানপাড়া এলাকায় তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এতে পাঁচজনের প্রত্যেককে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লসমী চাকমা রবিবার বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এই সাজা দেন।
সেখানে তিন ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খননের দায়ে এবং বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ১৫ (১) ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পবা উপজেলার পারিলা ইউপির কয়ড়া এলাকার হাকিমুদ্দিনের ছেলে আয়নাল হক, মাড়িয়া এলাকার আশাদ আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম, মৃত আতাউর রহমানের ছেলে রোকন উদ্দিন, বড়গাছী ইউনিয়নের বড় ভালাম এলাকার মৃত নাজিমুদ্দিনের ছেলে নবিরুল, ভবানিপুর এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে রনি আহমেদ।
স্থানীয়রা জানান, পবার বড়গাছী ইউনিয়নের কানপাড়া এলাকায় তিন ফসলি কৃষি জমিতে দুইটি এ্যাক্সেভেটর লাগিয়ে চলছিল পুকুর খননের কাজ। এই জমির মালিক স্থানীয় বড়গাছী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য স্বপন। কৃষি জমিতে অবৈধভাবে অবাধে তিনি পুকুর খনন করাচ্ছিলেন। এই পুকুরের মাটি তিনি বিক্রি করছেন উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায়।
রাজশাহীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লসমী চাকমা জানান, কোনো অবস্থাতেই কৃষি জমি, ফসলি জমিতে অবৈধ মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ইতোমধ্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কৃষি জমিতে পুকুর খনন করতে দেখে পুকুরের মালিকসহ গাড়ির চালককে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে বড়গাছী ইউপির কানপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত