ট্রাফিক সদস্যদের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বডিঅন ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান।
রবিবার (২৪ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া ট্রাফিক সপ্তাহ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে, যানজট নিরসন ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে ট্রাফিক সপ্তাহে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ বিশেষ অভিযান শুরু করেছে।
এ সময় তিনি বলেন, ‘পুলিশকে ম্যানেজ করে অটোরিকশা চলছে, যেখানে মামলা দেয়ার কথা সেখানে মামলা দিচ্ছে না, মামলা যেখানে হওয়ার কথা না, সেখানে মামলা দিচ্ছে-এমন নানা অভিযোগ আসছে বলেই ট্রাফিক সপ্তাহ করা হচ্ছে। ট্রাফিক সদস্যদের স্বচ্ছতা আনার জন্য বডিঅন ক্যামেরার ব্যবস্থা করেছি, যেখানে এর মাধ্যমে পুলিশ যদি আইন বহির্ভূত কোনো কাজ করে তবে সেটি ধারণ করা হবে এবং আমরা তা মনিটরিং করব। আমরা শত চেষ্টা করেও মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে পারছি না। এজন্য সবাইকে আইন মানতে হবে।’
এর আগে নগরীর চান্দনা চৌরাস্তা পুলিশ বক্সের সামনে পুলিশ কমিশনার বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ট্রাফিক সপ্তাহ উদ্বোধন করেন। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশ ও স্থানীয় পরিবহন শ্রমিকদের অংশগ্রহণে একটি সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
জিএমপি সূত্র জানায়, সড়কে বিশৃঙ্খলা ও আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সবকিছু প্রস্তুত রয়েছে। নগরবাসীকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ট্রাফিক সপ্তাহে ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ বিধিনিষেধগুলো হলো, বিআরটি লেন, ফ্লাইওভার ও মূল সড়কে রিকশা, অটোরিকশা প্রবেশ করতে পারবে না, মূল সড়ক থেকে কমপক্ষে ১০০ ফুট ভেতরে রিকশা, অটোরিকশা অবস্থান করতে হবে, চালকের পাশে বসিয়ে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না, উল্টো পথে কোনো যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ, নির্ধারিত স্থান ছাড়া কোথাও পার্কিং করা যাবে না, মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করা যাবে না, যেখানে সেখানে ওভারটেকিং নিষিদ্ধ, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা যাবে না, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও হাসপাতালের নিকট হর্ন বাজানো যাবে না, নির্ধারিত গতিসীমা অতিক্রম করে গাড়ি চালানো যাবে না, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ। ট্রাফিক সংকেত অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ও যেখানে সেখানে ইউটার্ন নেওয়া যাবে না।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ