১ জুন, ২০১৮ ১৫:২৭

সড়কের পাশেই নষ্ট হচ্ছে বিআরটিসির ১৭ বাস

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

সড়কের পাশেই নষ্ট হচ্ছে বিআরটিসির ১৭ বাস

বিআরটিসি রংপুর ডিপোর সামনের সড়কের পাশে এভাবে বছরের পর বছর ফেলে রাখায় নষ্ট হচ্ছে বিআরটিসির বাস —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বছরের পর বছর ধরে রংপুরে সড়কের পাশেই পড়ে আছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ১৭টি বাস। এগুলোর বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা হলেও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও অবহেলার কারণে বাসগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ বাসের ইঞ্জিন, সামনের গ্লাস ও চাকা উধাও হয়ে গেছে। খোয়া গেছে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ।

নগরীর বাবুখাঁ এলাকায় কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনালের পাশেই ভাড়া নেওয়া বাড়িতে বিআরটিসি রংপুর ডিপো। ডিপো সূত্রে জানা গেছে, এ ডিপো থেকে দেশের ১৮টি রুটে বিআরটিসির ৪২টি বাস চলাচল করত। বর্তমানে চলে ২৫টি বাস। অন্য বাসগুলো সামান্য সমস্যা হওয়ার পর মেরামত না করে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয়। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ডিপোর সামনে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের দুই পাশে খোলা আকাশের নিচে ১৭টি বাস পড়ে আছে। ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৬৭৭৬, ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৬৭৪২, ঢাকা মেট্রো-ব-১১-২২৮১, ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৫১৫৮, ঢাকা মেট্রো-ব-১১-২১৮২, ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৩২২০, ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪৬৭১, ঢাকা মেট্রো-ব-১১-২১৮১, ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৫১৪৭, ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৬৮০৭, ঢাকা মেট্রো-চ-৭৩৮৩, ঢাকা মেট্রো-ক-১১-২১৪, ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৫১৭৭, কুমিল্লা-ব-১১-০০৫৩, কুমিল্লা-ব-১১-০০৫৩, চট্ট মেট্রো-চ-১২৪২, রংপুর-ব-১১-০০১৩ নম্বরের বাসগুলো বছরের পর বছর সড়কের পাশে রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে নষ্ট হচ্ছে।

এসব বাসের ১৩টিরই ইঞ্জিন নেই। সামনের গ্লাস নেই ১০টি বাসের। চাকা নেই ১১টি বাসের। বিভিন্ন যন্ত্রাংশও খোয়া গেছে। ইঞ্জিন, চাকা ও সামনের গ্লাসগুলো কোথায় আছে সে ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি ডিপোর কর্মকর্তারা। ডিপোর কয়েকজন চালক ও কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিভিন্ন সময় কর্মকর্তারা অচল দেখিয়ে বেশকিছু ইঞ্জিন, সামনের গ্লাস এবং চাকা বাইরে বিক্রি করে দিয়েছেন। তারা বলেন, সামান্য সমস্যা হওয়ার পর বাসগুলো ফেলে রাখা হয়। মেরামত করলেই বাসগুলো সচল করা যেত। কিন্তু সেগুলো আর মেরামত করা হয় না।

অভিযোগ অস্বীকার করে ডিপোর হিসাব সহকারী (গ্রেড-১) নেফাউর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন বাইরে পড়ে থাকায় কিছু ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেগুলো খুলে রাখা হয়েছে। কয়েকটি ভালো ইঞ্জিন খুলে গুদামে রাখা আছে। কিছু চাকা খুলে অন্য বাসে লাগানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) জমসেদ আলী বলেন, আমি ছয় মাস হয় যোগদান করেছি। ডিপোতে শেড নেই। বেশকিছু বাস বাইরে ফেলে রাখার কারণে নষ্ট হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া বাসগুলো যে অবস্থায় আছে তা ঠিকঠাক করে ব্যবহার করতে গেলে ওই টাকায় আরও নতুন গাড়ি কেনা যাবে। এ কারণে ওইসব গাড়ি আর ঠিক করা হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর