রবিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

আইনজীবী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের প্রণোদনা দাবি

সহযোগিতা চেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আইনজীবী ও সাংস্কৃতিক কর্মীসহ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন প্রণোদনা তহবিলের দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আইনজীবীদের জন্য ৩০০ কোটি টাকা প্রণোদনা চেয়েছেন। গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার মাধ্যমে তারা ইতিমধ্যে এ বিষয়ে একটি দাবিনামা পাঠিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০০ কোটি টাকার তহবিল পেলে সেখান থেকে সব জুনিয়র ও ক্ষতিগ্রস্ত আইনজীবীদের বিনা সুদে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। যা তারা চার কিস্তিতে ২০২১ সালের মধ্যে পরিশোধ করবেন। দেশে ৫৫ হাজারের বেশি আইনজীবী রয়েছেন জানিয়ে মনজিল মোরসেদ বলেন, এর মধ্যে একটি অংশ ‘জুনিয়র’ হিসেবে কাজ করছেন। তাদের নিজস্ব আয় নেই। আদালত খোলা থাকলে দিনে সিনিয়ররা তাদেরকে কিছু টাকা দেন। এটাই তাদের একমাত্র অবলম্বন। আদালত বন্ধ থাকায় তারা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জুনিয়রশিপ শেষ করে নতুন প্রাকটিস শুরু করা আইনজীবীরাও সমস্যায় আছেন জানিয়ে ‘তাদেরও প্রণোদনা তহবিলের সাহায্য প্রয়োজন’ বলে যুক্তি দেখানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে দেশের দুস্থ শিল্পী ও সাংস্কৃতিককর্মীরা এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৫০ কোটি টাকা অনুদান দাবি করা হয়েছে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে এই অঙ্গনের কয়েকটি সংগঠন এ দাবি জানান। এর পাশাপাশি আপদকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় দলের অসচ্ছল সদস্যদের সহায়তার জন্য প্রত্যেক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নামে পূর্ব নির্ধারিত আর্থিক বরাদ্দ ও তালিকাভুক্ত অসচ্ছল শিল্পীদের বার্ষিক বরাদ্দ দ্বিগুণ করা এবং দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার লোকশিল্পীদের তালিকা শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে প্রণয়ন করে তাদের প্রত্যেককে এককালীন ন্যূনতম ৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার দাবি জানান তারা। এদিকে, করোনার কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি দাবি করে প্রণোদনা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের দাবি, করোনায় বিদেশি অতিথিদের আগমন বন্ধের কারণে দেশ পর্যটনশূন্য। সে কারণে আন্তর্জাতিক পাঁচ তারকা চেইন হোটেল এবং তারকা সম্পন্ন হোটেলগুলোও বন্ধ। এর ফলে হোটেল শিল্পে তিন হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন। এ বাস্তবতায় অ্যাসোসিয়েশনের অন্তর্ভুক্ত হোটেলগুলোর শ্রমিক ও কর্মচারীদের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন বাবদ প্রতি মাসে প্রত্যেক কর্মচারীদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান, হোটেলের মাসিক বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল ও পানির বিল ডিসেম্বর পর্যন্ত মওকুফ এবং শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতাদির ওপর আয়কর মওকুফ করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর