১ হাজার ২৭ কোটি ৯৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ছয়টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে গতকাল ভার্চুয়াল সভায় প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল বারিক। গতকাল অনুমোদিত ছয় প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ২৭ কোটি ৯৯ লাখ ৫৫ হাজার ২১৬ টাকা। এর মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৩৭৮ কোটি ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৭ টাকা। দেশি ব্যাংক ও বৈদেশিক ঋণ ৬৪৯ কোটি ৮০ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬৯ টাকা। সভায় ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্ট মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর এএফএস-০২-এর আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে দোহাটেক মিডিয়া বাংলাদেশ ও জিএসএস ইনফোটেক ইন্ডিয়া। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে ৫১ কোটি ২৩ লাখ ২৩ হাজার ২৯ টাকা।
সভায় ঢাকাস্থ মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেটের আসাদ অ্যাভিনিউয়ে (গৃহায়ণ কনকচাঁপা) কম্পাউন্ডে তিনটি ১৪ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণকাজের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ১৪৪ কোটি ৩৬ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪৭ টাকা।
সভায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতি মেট্রিক টন ৬৯২.৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৭ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯৭ কোটি ৪৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫০ টাকা।
সভায় রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতি মেট্রিক টন ৭০৩.৩৩ মার্কিন ডলার হিসেবে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ২ কোটি ১০ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০০ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯৫ টাকা।
এ ছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে নবম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার প্রতি মেট্রিক টন ৭০৩.৩৩ মার্কিন ডলার হিসেবে সর্বমোট ২ কোটি ১০ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০০ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯৫ টাকা ব্যয় হবে।
সভায় ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএপিএফসিএল) জন্য ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মেসার্স আর কে এন্টারপ্রাইজ, ঢাকা (প্রধান সরবরাহকারী : মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, ইউএই) এ ফসফরিক অ্যাসিড সরবরাহ করবে। প্রতি মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিডের দাম ৮২০ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ২৩৩ কোটি ৮২ লাখ ৩০ টাকা।