দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আগে যেখানে প্রতি ঘণ্টায় পণ্যের বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা চলত, সেখানে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর কোনো পণ্যেরই দাম বাড়েনি। তবে চলতি সপ্তাহে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে অতি প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মজুত পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে টানা বৃষ্টির কারণে চলতি সপ্তাহে ক্রেতাদের উপস্থিতি খুবই কম। চলতি মাসে কোনো পণ্যেরই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি হয়নি। পুরো বাজারে প্রত্যেকটা পণ্যের দামই স্থিতিশীল রয়েছে।’
জানা যায়, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর স্থিতিশীল রয়েছে ভোগ্যপণের বাজার। চলতি মাসে কোনো পণ্যেরই নাম খুব একটা ওঠানামা করেনি। বাজারে অতি প্রয়োজনীয় পণ্যের রয়েছে পর্যাপ্ত মজুত। বাজারের অবস্থা স্বাভাবিক থাকলেও টানা বৃষ্টি ও ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের বাধ্যবাধকতার কারণে পাইকারদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম।গতকাল খাতুনগঞ্জে পিঁয়াজ কেজি ৯০ থেকে ৯২ টাকা, রসুন ১৬০ টাকা, আদা ২১০ টাকা। মসুর ডাল ১০০ টাকা, মটর ৭০ টাকা, মুগডাল ১৩২ টাকা, জিরা (ভারত) ৬৮০ টাকা। হলুদ ২৩৫ থেকে ২৫২ টাকা, মরিচ ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা, আলু ৪৬ টাকা বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া সয়াবিন (পাম) মণ ৫ হাজার ৮০ টাকা, সয়াবিন (সুপার) ৫ হাজার ১৫০ টাকা, সয়াবিন ৫ হাজার ৬৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে- দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ভোগ্যপণ্যে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট। কতিপয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কারসাজি করে নানা অজুহাতে হাতিয়ে নিচ্ছে শত শত কোটি টাকা। এ সিন্ডিকেট সদস্যরা একেক সময় এককটি পণ্যকে টার্গেট করে বাজার কারসাজি করছে।
এ সিন্ডিকেট সদস্যরাই চাল, ডাল, আলু থেকে শুরু করে মসলা কিংবা তেল সব পণ্যের বাজার কারসাজি করছে। বাজার কারসাজি সিন্ডিকেটদের প্রতিরোধ করা না গেলে দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার আরও অস্থির হয়ে উঠবে।
তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট বেড়ে যাওয়া, ডলার সংকট এবং পর্যাপ্ত এলসি খুলতে না পারায় ভোগ্যপণ্যের বাজার ছিল অস্থির। ফলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বাজার পরিস্থিতি।