নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলার রায় দ্রুত কার্যকর চান নিহতদের স্বজনরা। গতকাল নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা। মানববন্ধনে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও তার দোসর নূর হোসেন এই সাত খুন করিয়েছিলেন। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় এখনো মামলার রায় কার্যকর হয়নি। বিগত সরকার রায় কার্যকরে টালবাহানা করেছিল। আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে দ্রুত এই রায় কার্যকর দেখতে চাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ন কবির ও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা প্রমুখ। এ ছাড়া মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল খান সাহেব ওসমানী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে অপহৃত হন সিটি করপোরেশনের তৎকালীন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার, মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীম। অপহরণের তিন দিন পর ছয়জনের এবং পয়লা মে একজনের লাশ সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে।
এ ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় দুটি মামলা করেন। ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার রায়ে ২৬ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ৯ জনকে কারাদন্ড দেন বিচারিক আদালত। পরে রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন ২৮ আসামি। ২০১৮ সালের ২২ আগস্ট মৃত্যুদন্ডাদেশ পাওয়া ১১ আসামিকে যাবজ্জীবন এবং বাকি ১৫ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।