বরিশাল নগরীতে নারী মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বাড়ছে। এক মাসে বরিশাল নগরী থেকে মাদকসহ ১০ নারী আটক হয়েছে। নগরী ছাড়াও উপজেলায় নারী মাদক বিক্রেতা রয়েছে। মাদকসহ কয়েকজন আটক হয়েছে।
বরিশাল মহানগর-জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সময়ে নারীরা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। নিরাপদে মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ পাচারের সুবিধার কারণে নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। অল্প পরিশ্রমে বেশি টাকা আয় করার সুযোগ পেয়ে নারীরা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। এদের সিংহভাগ নিম্নবিত্ত পরিবারের। অনেকে আবার মাদক ব্যবসায়ী স্বামীর কারণেও ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। বরিশাল নগরীর বিভিন্ন বস্তি এলাকায় নারী মাদক ব্যবসায়ী বেশি। নগরীতে দুই শতাধিক নারী মাদক ব্যবসা করছে। এদের সিংহভাগ ইয়াবা ও গাঁজা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সগীর হোসেন বলেন, এক মাসে তারা ইয়াবাসহ ছয়জন নারী মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছেন। একজন নারী মাদক সহজেই মাদক নিয়ে এক স্থানে আসা-যাওয়া করতে পারে। তাদের চিহ্নিত করা প্রায়ই সম্ভব হয় না। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে যেভাবে নারীরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এটা সমাজের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। গ্রামের সহজ সরল নারীরা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়া উদ্বেগজনক। একজন নারী মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে দেখা যায়, তার সন্তানরাও এ পেশায় জড়িয়ে পড়ে।
গত সোমবার আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মাদকসহ লিজা বেগম (৩০) নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। আরও অনেক নারী মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বরিশাল মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এক মাসে চার নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
উপ-পরিচালক মো. তানভীর হোসেন খান বলেন, বরিশালে বস্তি এলাকা বেশি। আর্থিক ব্যবস্থা খারাপ থাকার কারণে নারীরা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। স্বামীরা মাদক ব্যবসা করার কারণে স্ত্রীরা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। স্বামী কারাগারে গেলে মামলা পরিচালনাসহ সংসারের ব্যয়নির্বাহের জন্য জড়িয়ে পড়ছে। সামাজিকভাবে প্রতিরোধ ছাড়া এ থেকে বের হওয়া যাবে না।