কুড়িগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে মোট ১০৯ জনকে রাখার খবর পাওয়া গেছে। তবে ৫৪০ জন বিদেশ ফেরত বাংলাদেশীর তালিকা থাকলেও হোম কোয়ারেন্টাইনে সকলকে না আনায় অনেকেই হতাশ হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলা সদর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম জানান, যারা বিদেশ থেকে এসেছেন কিন্তু কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না তাদের খুঁজে বের করে যে জেলায় যিনি অবস্থান করছেন সেখানকার সিভিল সার্জনদের জানানো হচ্ছে।
এদিকে, গত দুইদিনে ১২ জনকে ১৪ দিনের কোয়ান্টেরাইন শেষে রিলিজ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে বলে সিভিল সার্জন সূত্র জানায়। তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের কোন উপসর্গ না পাওয়ায় চিকিৎসা বিভাগ স্বাভাবিক চলাচলের অনুমতি প্রদান করেছে।
এছাড়াও ইতালি, সৌদি আরব, দুবাই, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৫৪০ জন প্রবাসী জেলার ৯ উপজেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিজ এলাকায় চলে এসেছেন বলে জানা যায়।
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, বিদেশ ফেরত বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার পর অনেকেই জেলার বাইরেসহ বিভিন্ন এলাকায় চলে গেছেন। অনেকের জেলায় প্রবেশের সময় ১৪ দিন থেকে ১ মাস পর্যন্ত অতিবাহিত হয়েছে। তবে আমরা তাদের সকলকে শনাক্ত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে নিতে জেলা পুলিশসহ প্রশাসনের সহায়তায় মাঠে কাজ শুরু করেছি।
অন্যদিকে, করোনা আতংকে বাজারে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী হঠাৎ করে চালের দাম বাড়িয়ে দেয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন