করোনাভাইরাস প্রতিদিনই যেন বাংলাদেশের জন্য ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। আজ এই জেলা তো কাল আরেক জেলায় দেখা দিচ্ছে মরণঘাতী এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এরই মধ্যে এ ভাইরাস সিলেট বিভাগের প্রতিটি জেলায় নিজের জাল বিস্তার করেছে।
শুরুটা হয়েছিল সিলেট জেলা দিয়ে। এরপর মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ। সর্বশেষ করোনার ছোবলে পড়েছে সুনামগঞ্জ জেলা। এ যেন ষোলকলা পূর্ণ হওয়ার মতো অবস্থা!
করোনার বিস্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘এখন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে। তাই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। এজন্য সবাইকে অবশ্যই সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। ঘরে থাকতে হবে।’
উল্লেখ্য, যদি কোনও আক্রান্ত রোগী কোথা থেকে আক্রান্ত হয়েছেন, তা খুঁজে না পাওয়া যায়, বা এ সম্পর্কে কোনও তথ্য না পাওয়া যায়, তবে সেই পরিস্থিতিকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বলা হয়।
জানা গেছে, সিলেট বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনাক্রান্ত রোগী ধরা পড়ে গত ৫ এপ্রিল। ওই দিন সন্ধ্যায় জানা যায় সিলেটে এক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই দিনই (৫ এপ্রিল) রাতে খবর আসে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের আকুয়া গ্রামের এক ব্যক্তি করোনাক্রান্ত হয়েছেন। অবশ্য এর আগের দিন তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। মারা যাওয়ার পর তার শরীরের প্রয়োজনীয় নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানে ধরা পড়ে তিনি পজেটিভ ছিলেন।
এদিকে, গত শনিবার হবিগঞ্জ জেলায়ও ধরা পড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। তিনি একজন চালক। তাকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জে এসেছিলেন তিনি। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপকহারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
সর্বশেষ, রবিবার সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার এক নারী করোনাক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। তার নমুনা সিলেটে এএমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম