বাগেরহাটের শরণখোলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মো. তাহের খান (৪৪) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শরণখোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মৃতের কাছে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র সূত্রে জানা যায়, তাহের খানের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলার চর হিজলা গ্রামে। বাবার নাম মৃত কেরামত আলী খান, মায়ের নাম শামর্তবান বেগম। ওই ব্যক্তি মারেফাত তরিকার হওয়ায় বিভিন্ন মাজার এবং তার একই তরিকার লোকদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন বলে জানা গেছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোবাহান নামে এক লোক অসুস্থ তাহেরকে দুপুর ১টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তি রেজিস্ট্রারে তার মোবাইল নম্বরটিও রেখে চলে যান। এরপর কেউ তার কাছে আসেনি।
ওই মোবাইল ফোনে মোংলা উপজেলার জয়মনি গ্রামের সোবাহানের সাথে কথা বলে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় তাহের খান তার বাসার সামনে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তাকে বাসায় থাকতে দেন। রাতে কয়েকবার বমি করার পর আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে শরণখোলায় তার তরিকার খলিল সরদারের বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। পরে একটি টমটমে করে তাকে নিয়ে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার সঙ্গে থাকা একটি কৌটায় ৪ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন ও জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের পানিরঘাট গ্রামের খলিল সরদার ওরফে খলিল ফকির বলেন, মৃত ব্যক্তি আর আমি একই তরিকার ভাই। এক সপ্তাহ তার বাড়িতে থাকার পর দুদিন আগে চলে যান। আমি তার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে আসি।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এইচ এম ফয়সাল আহমেদ জানান, মৃত লোকটির শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল। পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস আছে কি না তার পরীক্ষার পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই