এবার টেলিভিশনে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির ঘোষণা দিলো ওয়ালটন। চলতি জুলাই মাসের প্রথম দিন থেকে কার্যকর হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। এখন থেকে টিভি কেনার পর এক বছরের মধ্যে প্যানেলে যে কোনো সমস্যা হলে গ্রাহকদের দেয়া হবে নতুন টিভি।
কর্তৃপক্ষ জানায়, গাজীপুরে নিজস্ব কারখানায় বিশাল বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তির মেশিনারিজ স্থাপন করেছে ওয়ালটন। নিশ্চিত করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মান। পাশাপাশি আরো গ্রাহকবান্ধব হতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সময়োপযোগী পণ্য উপহার দিতে দেশের সর্ববৃহৎ টেলিভিশন গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ গড়ে তুলেছে ওয়ালটন। যেখানে কাজ করছেন উচ্চ-শিক্ষিত, মেধাবী ও দক্ষ প্রকৌশলীরা। তারা ওয়ালটন টিভির মান উন্নয়নে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। যার সুফল হিসেবে এলইডি টেলিভিশনে এবার দেশীয় ব্র্যান্ডটি দিচ্ছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি।
গতকাল বুধবার (১২ জুলাই, ২০১৭) রাজধানীর মতিঝিলে ওয়ালটন মিডিয়া অফিসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। এর পাশাপাশি ওয়ালটনের এলইডি টিভির প্যানেলে রয়েছে দুই বছরের ওয়ারেন্টি। থাকছে ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবাও।
ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা, পলিসি ও এইচআরএম বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান, টিভি গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ফরহাদ হাসান মামনুন, টিভি সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ্রের প্রধান মোস্তফা নাহিদ হোসেন এবং টিভি সার্ভিসিং শাখার প্রধান ব্রজ গোপাল কর্মকার।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে অনেকেই এলইডি টিভিতে রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি সুবিধার কথা বললেও সমস্যা হলে গ্রাহকদের নতুন টিভি না দিয়ে শুধুমাত্র পার্টস বদলে দেয়। কিন্তু টিভি কেনার এক বছরের মধ্যে যদি এলইডি টিভির প্যানেলে কোনো ধরনের সমস্যা হয় তাহলে সেটি বদলে গ্রাহকদের সম্পূর্ণ নতুন টিভি দেবে ওয়ালটন। প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, এলইডি টিভির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে প্যানেল। টিভির মোট ব্যয়ের ৬০ শতাংশই লাগে প্যানেলে। প্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত হলে গ্রাহককে গুণতে হয় মোটা অঙ্কের অর্থ।
তিনি জানান, স্থানীয় বাজারে আমদানিকৃত অখ্যাত ব্র্যান্ডের এলইডি টিভিতে বেশিরভাগ সময়েই ব্যবহার করা হয় নিম্ন মানের প্যানেল। আর কষ্টার্জিত অর্থে এসব টিভি কিনে ঠকছেন গ্রাহকরা। কিন্তু ওয়ালটন এলইডি টিভিতে ব্যবহার করা হচ্ছে উচ্চ গুণগতমানের প্যানেল। আইএসও ক্লাস সেভেন ডাস্ট ফ্রি ক্লিন রুমে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এইচএডিএস (হাই এ্যাডভান্স সুপার ডাইমেনশন সুইচ) এবং আইপিএস (ইন প্ল্যান সুইচিং) প্যানেল তৈরি করছে ওয়ালটন। যা প্যানেলের গুনগত মান ও দীর্ঘস্থায়ীত্ব নিশ্চিত করে। এর ফলে দর্শকরা পান লার্জ ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল এবং হাই কন্ট্রাস্ট পিকচার। সেইসঙ্গে ওয়ালটন টিভি ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
এসময় বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা বলেন, বর্তমানে স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের রয়েছে ৬৭টি বৈচিত্র্যময় মডেলের এলইডি টিভি। এরইমধ্যে গ্রাহকদের আস্থা ও মন জয় করে নিয়েছে ওয়ালটন। তাই ওয়ালটন এখন বাজারের শীর্ষ ব্র্যান্ড। রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা এক বছরে উন্নীত করায় ওয়ালটনের প্রতি গ্রাহদের আস্থা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন তিনি।
প্রকৌশলী ফরহাদ হাসান মামনুন জানান, ওয়ালটন টেলিভিশনের গবেষণা ও মান উন্নয়নে আরএন্ডডি বিভাগ ইতোমধ্যে প্রভূত উন্নতি লাভ করেছে। তারা উদ্ভাবন করেছেন কোয়ান্টাম ডট প্লাস প্রযুক্তির আগামী প্রজম্মের স্পেকট্রাকিউ টিভি। সবমিলিয়ে, দেশের টেলিভিশন প্রযুক্তি খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছে ওয়ালটন।
জানা গেছে, ওয়ালটন টিভিতে উচ্চমানের ছবি ও শব্দের গুণগতমান নিশ্চিত করতে ডাইনামিক নয়েজ রিডাকশন, মোশন পিকচার, সর্বোচ্চ ফ্রেম রেট, ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম সমৃদ্ধ নিজস্ব ডিজাইনের উন্নত প্রযুক্তির মাদারবোর্ড ব্যবহার করা হচ্ছে। উৎপাদন পর্যায়ে নিজস্ব কারখানায় কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সাশ্রয়ী মূল্যে এলইডি টিভি বাজারজাত করায় বিক্রিও হচ্ছে বেশি। অধিক উৎপাদনের ফলে কমে যাচ্ছে উপাদন খরচ।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ জুলাই, ২০১৭/ওয়াসিফ