তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক গত ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোসিং (বাক্কো) এর কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে মাই আউটসোর্সিং লিমিটেডের বনানী প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে জুনায়েদ আহমেদ পলক মাই আউটসোর্সিং লিমিটেডের ডেভেলপ করা বিভিন্ন সার্ভিস ও সলিউশন, কাজের পরিবেশ এবং বিপিও সেক্টরে মাই আউটসোর্সিং লিমিটেডের অবদানের প্রশংসা করেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (বাক্কোর যুগ্ম মহাসচিব) তানজিরুল বাশার, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রাজীব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
জুনায়েদ আহমেদ পলক এ সময় বলেন, গত ১০ বছরে বিপিও সেক্টরে বাংলাদেশে নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। বিপিও কোম্পানিগুলোর আয় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার এবং বর্তমানে প্রায় ১৪৯টি প্রতিষ্ঠান বিপিও সেক্টরে কাজ করছে। শুরুর দিকে বিপিও সেক্টর শুধুমাত্র কলসেন্টারমুখী হলেও বর্তমানে নতুন নতুন অনেক কাজের ক্ষেত্র যেমন ডকুমেন্ট প্রসেসিং, আইটি সাপোর্ট, ইমেজ প্রসেসিং, মেডিকেল সাপোর্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ইমেইল এবং চ্যাট সাপোর্ট ইত্যাদি তৈরি হয়েছে যার ফলে এ সেক্টরে আগামী ২০২১ সাল নাগাদ প্রায় ১ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং আয় হবে ১ বিলিয়ন ডলার।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মাই গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠান হিসেবে শুরু হয় মাই আউটসোর্সিং লিমিটেডের যাত্রা। দেশের বিভিন্ন খাতের বড় বড় কোম্পানির কাস্টমার কেয়ার ও ব্যাক অফিস সার্ভিস দিয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের মধ্যে শতাধিক, আর দেশের বাইরে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে মাই আউটসোর্সিং। জাতীয় কল সেন্টার ৯৯৯ প্রকল্পেরও সল্যুশন পার্টনার হিসেবে মাই আউটসোর্সিংয়ের বিশেষ ভূমিকা ছিল।
বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডেস্ক ও কাস্টমার সার্ভিসের জন্য মাই আউটসোর্সিংয়ের ডেভেলপ করা সল্যুশন ব্যবহার করা হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন ধরনের কাস্টমাইজড অ্যাপস ও ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস দিয়ে থাকে মাই আউটসোর্সিং। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে স্নাতক উত্তীর্ণ তরুণ-তরুণীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিতে এসইআইপি বা সিপ (SEIP) নামের প্রকল্পও মাই আউটসোর্সিং পরিচালনা করে আসছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার