ইউনিলিভার করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী ৫০ মিলিয়ন বা পাঁচ কোটি ইউরো মূল্যের পণ্যসামগ্রী অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের আওতায় ইউনিলিভার এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ ২৫টি সরকারি হাসপাতাল ও ৩০টি চা বাগানের শ্রমিকসহ দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পণ্যসামগ্রী প্রদান করেছে।
ইউনিলিভারের পণ্যসামগ্রী প্রদান করার ব্যাপারে ডিরেক্টারেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে ইউনিসেফ সারাদেশে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় নিয়োজিত ২৫টি সরকারি হাসপাতাল নির্বাচন করে। ২৫টি হাসপাতালের মধ্যে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ডিএমসিএইচ), মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হাসপাতাল রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। বাকি ২০টি দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত।
ইউনিলিভার ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইউনিসেফ ও বিটিএ ৩০টি চা বাগানকে নির্বাচিত করে সেগুলোর শ্রমিকদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষার পণ্যসামগ্রী দিয়েছে।
ইউনিলিভার এই অনুদানের আওতায় ইউনিসেফের ওয়াশ প্রোগ্রামে বার সোপ বা সাবান দেওয়া হয়। ইউনিলিভারের প্রদান করা সাবানগুলো ইউনিসেফ তাদের ওয়াশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণ করবে।
ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইউবিএল) চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেদার লেলে বলেন, যতটা সম্ভব ও যত বেশি মানুষকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সহায়তা করাটা আমাদের একটি বড় দায়িত্ব। কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জের ভয়াবহতা এবং বিভিন্ন পর্যায়ে এই সমস্যা মোকাবিলার বিষয় বিবেচনা করে আমরা সরকার, স্বাস্থ্য খাতের প্রতিষ্ঠান, বাস্তবায়নকারী সংস্থা ও সুশীল সমাজের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করে চলেছি। ইউনিসেফের সঙ্গে মিলে আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ভীরা ম্যানডোসা বলেন, কোনো একটি সংস্থা, সংগঠন বা খাতের একার পক্ষে করোনা মহামারি মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এই সংকটকালে সরকার ও ব্যবসায় খাতের কৌশলগতভাবে যৌথ উদ্যোগ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ইউনিলিভারের দেওয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষার পণ্যগুলো ইউনিসেফের জন্য বাংলাদেশে কোভিড- ১৯ মোকাবিলায় বেশ সহায়ক হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর