শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

জরাজীর্ণ ছাদের নিচে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

জরাজীর্ণ ছাদের নিচে তিন  শতাধিক শিক্ষার্থী

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কুন্দার ঘোড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দায় পাঠদান —বাংলাদেশ প্রতিদিন

কুমিল্লার ১৬ উপজেলার তিন শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে ও স্কুলের জরাজীর্ণ ছাদের নিচে ক্লাস করছে। জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সূত্র জানায়, সদর দক্ষিণ উপজেলার ৬৫টি, বুড়িচঙের ২৫টি, মেঘনায় ২২টি, ব্রাহ্মণপাড়ায় ৩৩টি, তিতাসে ৩টি, লাকসামে ১৩টি, নাঙ্গলকোটে ২৫টি, মুরাদনগরে ৪০টি, হোমনায় ২৯টি, দেবিদ্বারে ১৫টি, বরুড়ায় ৮টি, চান্দিনায় ২৪টি, চৌদ্দগ্রামের ৬টি স্কুল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সদর উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল থাকলেও তালিকা পাওয়া যায়নি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কুন্দার ঘোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ স্কুলের ভিমের আস্তর খসে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হলে সেখানে পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল জলিল বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে স্কুলের ভেতর পাঠদান বন্ধ করে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করানো হচ্ছে। আগে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ছিল, বসার পরিবেশ না থাকায় কমে ১১৮ জন হয়েছে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামের মানুষের চাঁদা নিয়ে অন্যের জায়গায় দুটি অস্থায়ী টিনের ঘর উঠানো হয়েছে। জরাজীর্ণ স্কুলের বারান্দা, টিনের ঘর আর খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। সদর দক্ষিণ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অর্জুন কুমার মণ্ডল বলেন, এ উপজেলার অধিকাংশ স্কুলের অবস্থা বেহাল। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার আবেদন জানানো হচ্ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ঝরাজীর্ণ স্কুল গুলো পুনর্নির্মাণ ও মেরামতের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করছি, পর্যায়ক্রমে স্কুলগুলো সমস্যা মুক্ত হবে।

সর্বশেষ খবর