উদ্বোধনের মাস যেতে না যেতেই বহু প্রতীক্ষিত বিরতিহীন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি নামসর্বস্ব এক্সপ্রেসে রূপ নিয়েছে। নামের আগে বিরতিহীন থাকলেও ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকা যেতে কমপক্ষে ১০ জায়গায় থামে। আবার ঢাকা থেকে বেনাপোল আসতে থামে দশের অধিক স্থানে। ট্রেনের সূচি নিয়েও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বেনাপোলবাসীর মধ্যে। জানা যায়, বেনাপোল থেকে ট্রেনটি দুপুর ১টায় ছাড়ার কথা থাকলেও দুপুর আড়াইটার আগে স্টেশন ত্যাগ করে না। ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছায় রাত ১২টায়। গভীর রাতে স্টেশনে নেমে বিড়ম্বনার শিকার হন যাত্রীরা। ঢাকা থেকে ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে আসা পর্যন্ত শুধু বঙ্গবন্ধু সেতুর আগে চেকিংয়ের প্রয়োজন ছাড়া কোনো স্টেশনে থামার কথা নয় ট্রেনটির। অথচ প্রতিদিন ঈশ্বরদী পর্যন্ত আসতে অন্তত পাঁচ স্থানে বিরতি দেওয়া হচ্ছে। ঈশ্বরদীর পর চুয়াডাঙ্গা, আলমনগর, ভেড়ামারাসহ বিভিন্ন স্টেশনে থামানো হয় বিভিন্ন কারণে। বিভিন্ন স্টেশন ও আউটার সিগন্যালে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে রাখাও নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তথ্যসূত্র জানায়, বিরতিহীন ট্রেনকে চলার জন্য একই লাইনের অন্যান্য ট্রেন থামিয়ে সাইড দেওয়ার কথা। সেখানে বিরতিহীন ট্রেনকেই বিভিন্ন স্টেশন ও আউটার লাইনে থামিয়ে রেখে অন্য ট্রেনকে চলার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বেনাপোল এক্সপ্রেস নামের বিরতিহীন ট্রেন আর বিরতিহীন থাকছে না। বেনাপোল রেল স্টেশন মাস্টার সাইদুর জামান বলেন, ‘নতুন নতুন ট্রেন চালু করা হলেও রেলপথ বাড়ানো হচ্ছে না। প্রতিদিন ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটে ৪৮টি ট্রেন চলাচল করে। তারপর খুলনা-ঢাকার ট্রেন-তো আছেই। এতগুলো ট্রেন এক লাইনে চলাচলের কারণে বিরতিহীন ট্রেনকে বিরতিহীনভাবে চলার সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা অপ্রতুল। এ কারণে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরতিহীনভাবে চলতে না পারায় বিভিন্ন স্টেশনে থামতে হচ্ছে। এ কারণে ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের কিছুটা দেরিতে গন্ত্যবে পৌঁছে।’ পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী বিভাগীয় কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, বিরতিহীন ট্রেনকেই অন্য ট্রেনের সাইড দেওয়ার কথা। কিন্তু এক লাইনে অনেক ট্রেন চালানোর জন্য বাধ্য হয়ে নিয়ম ভাঙা হচ্ছে।
রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।