সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

শাজাহানপুরে আগাম সবজি আবাদে পচন রোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

শাজাহানপুরে আগাম সবজি আবাদে পচন রোগ

বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় ৪৮০ হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষ হচ্ছে। এই এলাকার উৎপাদিত লালশাক, পালংশাক, মুলা, সিম, টমেটো, বাঁধা কপি, ফুল কপি, বেগুন, বরবটি, করলা, পটলসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ইতোমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা খুশি ছিলো। তবে সম্প্রতি পচন রোগ দেখা দেওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। কত একর জমিতে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই উপজেলা কৃষি অফিসে। বেশ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সবজির পচন রোগ দেখা দিতে পারে বলে অফিসটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সরেজমিনে উপজেলার বৃকুস্টিয়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম, চুপিনগর গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেনসহ খলিশাকান্দি, ফুলকোটসহ আশপাশের গ্রামের কৃষকরা জানান, বেশির ভাগ বাগানের  পটল, বরবটি, করলা, ঝিঙ্গাসহ জাংলায় ধরে এসব সবজি অল্প করে বাজারে তোলা শুরু হয়েছে। গত ১৫ দিনের মধ্যে বেশির ভাগ বাগানে গাছের আগা পচে যাচ্ছে। বৃকুস্টিয়া এবং চুপিনগর গ্রামে করতোয়া নদীর ধারের আবাদগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কৃষি অফিসের দেওয়া পরামর্শ এবং ওষুধের দোকানের লোকদের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী ছত্রাক নাশক এবং কীটনাশক ছিটিয়েও কোনো সুফল পাচ্ছেন না। জমিতে বৃষ্টির পানি জমতে না দেওয়ার জন্য নালাও করে দিয়েছেন। সরেজমিনে আবাদি জমি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার জন্য কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ রেখেছেন এই কৃষকরা।

শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার উম্মে হাবীবা এবং কৃষি অফিসের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, কৃষকরা অনিয়মিতভাবে অতি মাত্রায় প্রায় ৭ থেকে ৮টি বিভিন্ন প্রকারের ওষুধ একত্রিক করে জমিতে ছিটাচ্ছেন। এতে গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। বর্তমানে লাগাতার বৃষ্টির কারণে জমি ভেজা থাকছে এবং রোগ বালাইয়ের বিস্তার বেড়েছে। ওষুধ দেওয়ার পরেই বৃষ্টিতে তা ধুয়ে যাচ্ছে তাই ওষুধেও কাজ হচ্ছে না। এমন বৈরি আবহাওয়া চলাকালীন কৃষকদের ধৈর্য ধরতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর