রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সোমেশ্বরীতে জীবন-জীবিকা লাখো মানুষের

আলপনা বেগম, নেত্রকোনা

সোমেশ্বরীতে জীবন-জীবিকা লাখো মানুষের

ভারতের বাঘমারা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে নেমে আসা নদী সোমেশ্বরী। খনিজ সম্পদে ভরপুর এ নদী ঘিরে রয়েছে অপার সম্ভাবনা। এ নদীতে জড়িয়ে আছে লাখো মানুষের জীবন-জীবিকা। সোমেশ্বরী নদীতে পাওয়া যায় মূল্যবান সিলিকন বালু-যা দিয়ে তৈরি হয় গ্লাস (আয়না)। বড় বড় ইমারত নির্মাণেও ব্যবহৃত হয় এ বালু। এই বালু সঠিকভাবে কাজে লাগালে এর আয় দিয়েই নেত্রকোনা জেলাকে ঢেলে সাজানো সম্ভব। বাংলাদেশের বিজয়পুর ও ভবানীপুর সীমান্ত দিয়ে দুর্গাপুরে প্রবেশ করে সোমেশ্বরী নদী। নদীর দুই তীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর। পাহাড়ি এই নদী দুর্গাপুরের শিবগঞ্জ, বিরিশিরি হয়ে পূর্বধলার জারিয়া ঝানঝাইলের কাছে কংশ নদীতে মিলেছে। নদীর নীল স্বচ্ছ জলরাশি মুগ্ধ করে সবাইকে। আর তলদেশে রয়েছে সিলিকন বালু, পাথর আর কয়লার খনি। এক সময়ে পাহাড়ি ঢলে ভেসে আসতো কয়লা-পাথর। সেগুলো কুড়িয়ে নদীতীরের কয়েক হাজার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতো। এছাড়া প্রতিদিন এই নদী থেকে কোটি টাকার সিলিকন বালু (লাল বালু) উত্তোলন করা হয়। যা সরবরাহ হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের অন্যতম কাঁচামাল এখানকার বালু। এই বালু বিক্রি করে চলে লাখো শ্রমিকের সংসার।

জানা যায়, প্রতিদিন সোমশ্বেরী নদী থেকে ২০ থেকে ২৫ হাজার ট্রাক লরি বালু বিভিন্ন স্থানে যায়। তবে নিয়ম না মেনে যত্রতত্র বালু উত্তোলনে নদী যেমন সৌর্ন্দয্য হারাচ্ছে। তেমনি নষ্ট হচ্ছে এর গতিপথ। এক সময় ভূ-গর্ভে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন বিষেশজ্ঞরা।

সর্বশেষ খবর