শিরোনাম
শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

হাওরে গলার কাঁটা সড়কবিহীন ব্রিজ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

হাওরে গলার কাঁটা সড়কবিহীন ব্রিজ

গ্রামের মানুষের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়কবিহীন ব্রিজ কালভার্ট। মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী গ্রামের মানুষের অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে এলজিইডি বাস্তবায়িত সড়কবিহীন ব্রিজ কালভার্টগুলো। মদন ফতেপুর সড়কের প্রায় ৫ থেকে ৭ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে ৭টি ব্রিজ কালভার্ট। ১৯৯১ সালের দিকে ব্রিজ হলেও হয়নি আজো সড়ক। এগুলোর খোঁজ রাখে না কেউ। যার জন্য মানুষ ধান নিয়ে রিকশা, সাইকেল এমনকি ভালোভাবে হেঁটেও যেতে পারেন না। ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার পথ অন্য সড়ক দিয়ে ঘুরে চলাচল করতে হয় কয়েকটি গ্রামের মানুষকে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নেত্রকোনা জেলার হাওরাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা মদন। ২২৫.৮৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে অবস্থিত উপজেলার অধিকাংশই বর্ষায় থাকে পানির নিচে। এই এলাকার প্রধান ফসল হচ্ছে ধান। আর এই হাওরাঞ্চলের একটি মাত্র ফসল হয় শুকনো মৌসুমে। কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থা ব্রিটিশ আমলের পর থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রায় অর্ধশত বছরেও একই রকম। কোনো উন্নয়ন নেই। বরং কিছু কিছু এলাকায় উন্নয়নের নামে লুটপাটের কাজের খেসারত দিতে হচ্ছে জনসাধারণকে। তিয়শ্রী ইউনিয়নের মদন ফতেপুর তিয়শ্রী গ্রামীণ প্রায় ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার সড়ক যেন কৃষকসহ এলাকাবাসীর বিষফোঁড়া। স্থানীয়রা জানান, ১৯৯১ সালে সড়কটিতে বেশ কয়েকটি ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ হলেও আজো নির্মিত হয়নি সড়ক। অল্প দূরত্বের সড়ক রেখে কৃষকদের ধান আনা-নেওয়াসহ চলাচল করতে হয় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার বাড়তি পথ ঘুরে। ব্রিজ কালভার্টগুলো ভেঙে পড়ছে। সড়কটি জঙ্গলে পরিণত হয়েছে।

এলাকাবাসী ও কৃষকরা বলছেন, এই ব্রিজ কালভার্ট না থাকলে তাদের জন্য ভালো হতো। ধান নিয়ে পায়ে হেঁটে হলেও চলাচল করা যেত। কিন্তু ব্রিজ কালভার্টের কারণে সড়কে ওঠানামাই করা যায় না। সেখানে ধান নিয়ে চলাচলের তো প্রশ্নই আসে না। এদিকে এ ব্যাপারে কথা বলতে দুই দিন নেত্রকোনা এলজিইডি ভবনে ঘুরে ফোন করেও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামানকে পাওয়া যায়নি। দুই দিন ঘুরে সহকারী প্রকৌশলী পরিতোষ দাসকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেলেও তিনি জানান, তিয়শ্রীর এই ৫ কিলোমিটার সড়কে মাত্র দুটি কালভার্ট। কোনো ব্রিজ নেই। এটি একটি গ্রামীণ সড়ক বলে বিষয়টিকে তিনি উড়িয়ে দেন।

সর্বশেষ খবর