বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

লাইনে দাঁড়িয়ে ওএমএসের চাল না পাওয়ায় ক্ষোভ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ১০ টাকা কেজি দরে ওএমএসের চাল পাচ্ছে না নিম্ন আয়ের মানুষ। এ নিয়ে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য বিভাগ গত রবিবার পঞ্চগড় শহরে ৮ জন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু করে। প্রতিদিন শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে চাল কিনছেন। অল্পসংখ্যক মানুষ এই চাল কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। বাকিরা দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে চাল না পেয়ে বাড়ি ফিরছেন খালি হাতে। এ নিয়ে বঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার চাল না পেয়ে অনেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জড়ো হন। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের আশ^স্ত করলে বাড়ি ফিরে যান। এদিকে ওএমএসের চাল কিনতে আসা মানুষ সামাজিক দূরত্ব মানছে না বলে অভিযোগ আছে। কমপক্ষে তিন ফিট দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা থাকলেও চাল কেনার সময় তারা গা ঘেঁষে ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছেন। সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় প্রথম দিন জেলা শহরের আটজন ডিলারকে ১ হাজার ২৫০ কেজি করে ওএমএসের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দেওয়া হয় ৫০০ কেজি করে। প্রত্যেক ব্যক্তিকে ৫ কেজি করে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে। এতে প্রতিদিন ১০০ জনের কাছে চাল বিক্রি করা যাবে। কিন্তু সকাল থেকে প্রতি ডিলারের কাছে ৫ শতাধিক মানুষ ১০ টাকার চাল কিনতে আসে। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আগে পৌর এলাকায় ওএমএসের চাল দেওয়া হতো না। এই বিশেষ পরিস্থিতিতে পৌরসভাতে এ চাল দেওয়া হচ্ছে। ওএমএসের চালের বরাদ্দ নির্ধারিত। এর বেশি মানুষ এলে দেওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া দেখা যাচ্ছে একই পরিবারের দুই তিনজনও লাইনে দাঁড়িয়ে চাল কিনছে। সেক্ষেত্রে আরেকজন বঞ্চিত হচ্ছে। সবাই যেন চাল সমভাবে পায় সেজন্য জনপ্রতিনিধিদের চাল বিক্রির সময় উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছি।

সর্বশেষ খবর