বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

রায়পুরে জমজমাট প্রচারণায় প্রার্থীরা

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় সরগরম। কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের প্রচারণায় অংশগ্রহণ দেখা দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। রং-বেরঙের গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মন মাতানো ছন্দে মাতিয়ে রাখছে পুরো এলাকা। হাট-বাজার, রাস্তার মোড়, পাড়া-মহল্লায় সর্বত্রই ঝুলছে প্রার্থীদের ছবি ও প্রতীক সংবলিত পোস্টার। ছেয়ে গেছে পৌর এলাকা। সরেজমিন ঘুরে ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনা ছাড়া এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রাণবন্তকর পরিবেশে চলছে প্রচারণা। সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে এবার উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। তারা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনে প্রচারণায় নতুন ছন্দ খুঁজে পেয়েছে পৌরসভার নেতা-কর্মীরা। রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ছয়জন, ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৫০ জন ও সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে সাতজন নারী প্রার্থী নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৫ম ধাপে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে রায়পুর পৌরসভায়। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট (নৌকা), বিএনপি থেকে দুবারের সাবেক মেয়র এ বি এম জিলানী (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক মনির আহম্মেদ (মোবাইল ফোন), মাওলানা আবদুল খালেক (হাত পাখা), নাছির উদ্দিন ছগির (পানির জগ) এবং মো. মাসু উদ্দিন (নারিকেল গাছ)।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, পৌর মেয়র নির্বাচিত হলে পৌর পিতা নয় বরং জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করব। স্বাস্থ্য শিক্ষা বিদ্যুৎ যোগাযোগ ও দরিদ্র অসহায় অসচ্ছল মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নসহ সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌরবাসী ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এ বি এম জিলানী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবং জনগণ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে আমার জয় সু-নিশ্চিত। মোবাইল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক মনির আহম্মেদ বলেন, জনগণের ভোটে আমি বিজয়ী হতে পারলে  পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিক্ষা ও সাংস্কৃতির ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনব। মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা। পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় চলছে পোস্টারিং, মাইকিং ও উঠান বৈঠক। বইছে ভোটের হাওয়া। নির্বাচনে প্রার্থীরা রাতদিন জনগণের দুয়ারে দুয়ারে ভোট চাইছেন। স্থানীয় সাধারণ মানুষের মতে দল নয় ব্যক্তি দেখে ভোট দেবেন ভোটাররা। এলাকার উন্নয়নে দলের মনোনয়ন মুখ্য নয়। এক্ষেত্রে প্রার্থীর ব্যক্তিগত মন মানসিকতা, সততা ও যোগ্যতাই আসল ব্যাপার। কাজেই তারা কে কোন দলের প্রার্থী তা বিবেচনায় নিতে চান না। তারা ভোট দেবেন প্রার্থীর ব্যক্তিগত ইমেজ, সততা ও যোগ্যতা দেখে।

সর্বশেষ খবর