রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

রেশমের বাম্পার ফলনে চাষিদের মুখে হাসি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

রেশমের বাম্পার ফলনে চাষিদের মুখে হাসি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার একমাত্র ভোলাহাট উপজেলায় রেশম চাষ হয়ে থাকে। পলু পোকার সাহায্যে রেশম সুতা উৎপাদন হয়ে থাকে। যা দিয়ে মসলিন বা সিল্ক কাপড় তৈরি হয়। আর দীর্ঘদিন ধরে রেশম চাষের সঙ্গে জড়িয়ে থাকলেও তেমন একটা লাভের মুখ দেখেননি এই উপজেলার রেশম চাষিরা। রেশম চাষ করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন বার বার। তারপরও বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে চালিয়ে আসছেন রেশম চাষ। তবে এ বছর রেশমের বাম্পার ফলন পেয়ে মহাখুশি রেশম চাষিরা। ভোলাহাট উপজেলার চরধরমপুর গ্রামের রেশম চাষি সমরুদ্দিন বলেন, ৬০০ পলু পোকার ডিম নিয়ে বাম্পার ফলন পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের ডিজি রাজশাহী আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক যোগদান করার পর থেকে তাদের অনুপ্রেরণায় রেশম চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে ভোলাহাট উপজেলায়। বর্তমানে ২৬৬ জন চাষি রেশমের চাষ করছেন। আর এবার বাম্পার ফলনও পেয়েছেন এবং এতে তারা মহাখুশি। জানা গেছে, সদ্য যোগদানকারী রেশম বোর্ডের কর্মকর্তারা রেশমের সুদিন ফিরিয়ে আনতে রেশম চাষিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। ফার্মিং পদ্ধতিতে রেশম চাষের পরার্মশ দিয়েছেন। সরকারি বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাসহ জীবাণুমুক্ত ডিম সরবরাহ করেছেন। ফলে এক বছরের ৪টি বন্দ (জাত) অগ্রণী, চৈয়তা, জৈষ্ঠি ও ভাদরি’তে রেশমের বাম্পার ফলন পেয়েছেন চাষিরা। চাষিরা জানান, এর আগে কর্মকর্তাদের গাফলতির কারণে ও কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখায় ফলন বিপর্যয় হতো। এর আগে এ ৪টি বন্দে ১০০ ডিমে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ কেজি ফলন (রেশম সুতা) পাওয়া গেলেও বর্তমান পদ্ধতি অবলম্বন করে এখন ফলন পান ১০০ ডিমে ৯০-৯৫ কেজি। আগে মণপ্রতি দাম মাত্র ৮-৯ হাজার টাকা পাওয়া গেলেও এখন কৃষক দাম পাচ্ছেন ১৪-১৫ হাজার টাকা করে। আর এবছর রেশমের দাম পাওয়ায় যারা রেশম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন তারাও রেশম চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ ব্যাপারে ভোলাহাট রেশম সম্প্রসারণ জোনাল কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী মাসুদ রেজা জানান, জীবাণুমুক্ত ডিম সরবরাহ, নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিদর্শন করে পরামর্শ দেওয়ার কারণে এ বছর রেশমের বাম্পার ফলন হয়েছে।

সর্বশেষ খবর