রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

সেদিন মরে যাওয়াই ভালো ছিল

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে আহত মেঘলা ও লতিফ

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বড় হযরতপুর গ্রামের মেঘলা বেগম ও তার স্বামী আবদুল বাতেন কাজ করতেন ঢাকার সাভারের রানা প্লাজায়। ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি কেড়ে নেয় আবদুল বাতেনের প্রাণ। সেদিনের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন মেঘলা। তার সারা শরীরে এখনো অসংখ্য জখমের দাগ। দুই বছর আগে একই গ্রামের নুরুল ইসলাম নামে একজনকে বিয়ে করেছিলেন। ওই ঘরে এক বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। মেয়ের বয়স যখন দুই মাস তখন নুরুল ইসলাম তাকে তালাক দিয়ে আরেকটি বিয়ে করেন। এখন শিশুসন্তান নিয়ে মেঘলা বাবার বাড়ি অবস্থান করছেন। মেঘলা বলেন, সেদিন (রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি) মরে যাওয়াই ভালো ছিল। বেঁচে থেকে এত যন্ত্রণা সহ্য হয় না। রানা প্লাজা ধসে আহত হয়েছিলেন মিঠাপুকুরের নারায়ণপুর গ্রামের আবদুল লতিফ। সরকারি সাহায্য ৯৫ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। তা চিকিৎসাতেই শেষ হয়ে গেছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সেদিন আহত হয়ে বেঁচে যাওয়াটাই মনে হয় ভুল ছিল।

সর্বশেষ খবর