শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

থমকে গেছে নওগাঁর মৃৎশিল্প

নওগাঁ প্রতিনিধি

থমকে গেছে নওগাঁর মৃৎশিল্প

একদিকে মহামারী করোনা, অন্যদিকে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে মাটির তৈজসপত্র বিক্রি শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলোর। নওগাঁর প্রায় সব উপজেলায় কমবেশি কুমার পরিবার রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বিলুপ্তির পথে থাকা মৃৎশিল্পের ওপর। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এ শিল্পটির মৃত্যু হতে পারে এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। ধামইরহাটের ষাটোর্ধ্ব শ্রীমতী রজলি পাল বলেন, মাটির তৈরি ব্যাংক মান অনুযায়ী ১০-৬০ টাকা, পাতিল ২০-৪০ টাকা, গরুর খাবারের জন্য চারি ৩০-৬০ টাকা, পানি রাখার কলস ৪০ টাকা, কবুতরের ঘর ১৫ টাকা, পাতিলের ঢাকনা ১০-৩০ টাকা, মাটির ফুলদানি ২০-৫০০ টাকা, শিশুদের খেলনা প্রতি পিস ১০ টাকা, মাটির থালা ৪০-১৫০ টাকা, মগ ২০-৮০ টাকা, ফুলের টব ২০-১০০ টাকা, বাদনা ৩০-৫০ টাকা, সাত পিঠার বাটি ৪০ টাকা, পানের বাটা ৩০ টাকা ও মাটির প্রদীপের দাম ২০ টাকা রাখা হয়েছে। মাটির দু®প্রাপ্যতার সঙ্গে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির কারণে মাটির তৈজসপত্র তৈরি ও বিক্রি খুব একটা লাভের মুখ দেখছেন না তারা। তাদের অভিযোগ, সরকারের অর্থনৈতিক সহযোগিতা না পেলে এ শিল্প টিকিয়ে রাখা অসম্ভব। মৃৎশিল্পী রামায়ন প্রসাদ পাল বলেন, আমি এখন আমার বংশের ১৪তম পুরুষের হাল ধরে আছি। আমার  ছেলেদের মৃৎশিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য ছেলেদের কাজ করতে বললেই তারা বলে বাবা, এ দিয়ে আমাদের জীবন সংসার চলবে না। প্রয়োজনে মাঠে কাজ করব, ভ্যান-রিকশা চালাব।

সর্বশেষ খবর