একদিকে মহামারী করোনা, অন্যদিকে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে মাটির তৈজসপত্র বিক্রি শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলোর। নওগাঁর প্রায় সব উপজেলায় কমবেশি কুমার পরিবার রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বিলুপ্তির পথে থাকা মৃৎশিল্পের ওপর। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এ শিল্পটির মৃত্যু হতে পারে এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। ধামইরহাটের ষাটোর্ধ্ব শ্রীমতী রজলি পাল বলেন, মাটির তৈরি ব্যাংক মান অনুযায়ী ১০-৬০ টাকা, পাতিল ২০-৪০ টাকা, গরুর খাবারের জন্য চারি ৩০-৬০ টাকা, পানি রাখার কলস ৪০ টাকা, কবুতরের ঘর ১৫ টাকা, পাতিলের ঢাকনা ১০-৩০ টাকা, মাটির ফুলদানি ২০-৫০০ টাকা, শিশুদের খেলনা প্রতি পিস ১০ টাকা, মাটির থালা ৪০-১৫০ টাকা, মগ ২০-৮০ টাকা, ফুলের টব ২০-১০০ টাকা, বাদনা ৩০-৫০ টাকা, সাত পিঠার বাটি ৪০ টাকা, পানের বাটা ৩০ টাকা ও মাটির প্রদীপের দাম ২০ টাকা রাখা হয়েছে। মাটির দু®প্রাপ্যতার সঙ্গে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির কারণে মাটির তৈজসপত্র তৈরি ও বিক্রি খুব একটা লাভের মুখ দেখছেন না তারা। তাদের অভিযোগ, সরকারের অর্থনৈতিক সহযোগিতা না পেলে এ শিল্প টিকিয়ে রাখা অসম্ভব। মৃৎশিল্পী রামায়ন প্রসাদ পাল বলেন, আমি এখন আমার বংশের ১৪তম পুরুষের হাল ধরে আছি। আমার ছেলেদের মৃৎশিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য ছেলেদের কাজ করতে বললেই তারা বলে বাবা, এ দিয়ে আমাদের জীবন সংসার চলবে না। প্রয়োজনে মাঠে কাজ করব, ভ্যান-রিকশা চালাব।
শিরোনাম
- সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
- ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
- ‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
- চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
- রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
- ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
- গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
- সাজা মওকুফ হওয়ায় মুক্তি পেলেন যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ১৩ আসামি
- মঙ্গলবার থেকে আমদানি-রফতানির সব সনদ অনলাইনে জমা বাধ্যতামূলক
- ‘জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে দ্রুত সময়ে নির্বাচনের ঘোষণা সরকার’
- এবার নিউইয়র্কের তহবিল বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প
- স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘মমতা’ প্রকল্প বন্ধের খবরে দুশ্চিন্তায় চরাঞ্চলের প্রসূতিরা
- ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করেছে সরকার
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
- বিএম কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা
- আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
- দল নিবন্ধন : আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বে ইসির ৭ কর্মকর্তা
- বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মতবিনিময় সভা
থমকে গেছে নওগাঁর মৃৎশিল্প
নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর