বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ভাঙা সড়কে দুর্ভোগ

আয়ুবুল ইসলাম, কক্সজার

ভাঙা সড়কে দুর্ভোগ

কক্সবাজারের টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপের ভাঙা সড়কে সীমাহীন দুর্ভোগে আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সড়কের মোট দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার। ২০১২ সালের দ্বীপের বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকে শাহপরীর দ্বীপ থেকে হারিয়াখালী পর্যন্ত ছয় থেকে সাত কিলোমিটার সড়ক বিলীন হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। বেড়িবাঁধ অরক্ষিত থাকায় ভাঙা সড়কের ওই অংশে পথ পাড়ি দিতে হতো নৌকায়। জোয়ার-ভাটার বৃত্তে বন্দী দ্বীপের বাসিন্দাদের পোহাতে হয়েছে চরম দুর্ভোগ ও সীমাহীন কষ্ট। বর্তমান সরকারের ১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বীপের বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সড়ক সংস্কারের জন্যও জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় ২০১৮ সালে ৬৭ দশমিক ৭৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়। কাজ পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জে কে এন্টারপ্রাইজ শুরু থেকে ঢিলেঢালাভাবে সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করে। ২০২১ সালের জুন মাসে সড়কের পুরো কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এতদিনে ৫০ ভাগের বেশি কাজ শেষ করতে পারেনি তারা। এখন কাজ শেষ করতে আরও এক বছর সময় বাড়িয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাহপরীর দ্বীপ বড়খাল নামক জায়গায় একটি বড় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। খালের ওপর জনসাধারণের চলাচলের জন্য সাবরাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর হোসেন একটি ড্রাম সেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া ওই নির্মাণাধীন সেতু আগে ও পরে প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজের সাববেজ ও কম্পেকশনের কাজ শুরু হয়নি এখনো। ওই দেড় কিলোমিটার পথ এতই বেহাল যে, হেঁটে পথ চলতে নারী পুরুষের কান্নায় চোখ ভেসে যায়। বর্ষার বৃষ্টিতে সড়কের এই অংশ কর্দমাক্ত হয়ে যাওয়ায় দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি সড়ক না চাষের জমি! দ্বীপবাসীর অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শুরুতে কাজে মনোযোগী ছিল না। শেষ মুহুর্তে এসে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করতে চেয়েছে। সড়কের কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ও লবণাক্ত পানি ব্যবহারেরও অভিযোগ করেছেন তারা। এ ছাড়া গাইডওয়াল নির্মাণ ও অন্যান্য কাজে অদক্ষ রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর