বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ত্রাণ পাচ্ছে না অসহায় মানুষ

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরুর পর প্রথম দফায় কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিন অতিবাহিত হলেও ত্রাণ সহায়তা পাননি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার অসহায় মানুষ। এদিকে কঠোর লকডাউন আবারও সাত দিন বাড়িয়ে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের লোকজন।  জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার কোনো এলাকায় দুস্থ ও অসহায় লোকজনের সহায়তায় কেউ এগিয়ে আসেনি। কঠোর লকডাউনে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেকের কষ্টে দিন কাটছে। অনেকে লোকলজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারছেন না। চকরিয়া  ফুটপাতের আম ব্যবসায়ী জাফর আলম বলেন, কঠোর লকডাউনের কারণে ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। তিন ছেলে-মেয়েসহ পাঁচজনের সংসার। প্রতিদিন ৫০০ টাকা আমার পরিবারে খরচ আছে।

ধারদেনা করে কোনো রকম চলছি। কি করব বুঝতে পারছি না। কোনো জনপ্রতিনিধি বা ধনাঢ্য ব্যক্তি আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। পৌরশহরের গালর্স স্কুল রোডের চা দোকানি নুরুল আবছার বলেন, দোকান বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। কারোর কাছে হাত পাততে পারছি না। এই দুঃসময়ে সরকারি-বেসরকারি কোনো সহায়তা নেই। পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম বলেন, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় জনপ্রতিনিধিরা সাধ্যমতো অসহায় পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতা করেছে। এবারও আমি সংকটে থাকা পরিবার খুঁজে খুঁজে সহায়তা দিচ্ছি। পূর্ব বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আরিফ দুলাল বলেন, আমার এলাকায় দিনমজুর ও শ্রমিক বেশি। তারা দিনে এনে দিনে খায়। লকডাউনের কারণে কাজ না থাকায় এ সব লোক বেকার হয়ে পড়েছে। সরকারি কোনো সাহায্য এখনো হয়নি। আমার সাধ্যমতো গরিব ও দুস্থদের সহায়তা করছি। চকরিয়ার ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, ঈদুল আজহার আগে সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ বরাদ্দ হলে দুস্থ পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর