শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

বান্দরবানে পাহাড়ধসে প্রাণহানির শঙ্কা

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানে পাহাড়ধসে প্রাণহানির শঙ্কা

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের প্রায় ৩৪ হাজার মানুষ পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এদিকে গত দুই দিনের টানা ভারি বর্ষণে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কোথাও কোথাও ধসে পড়েছে ছোট বড় পাহাড়। আরও ব্যাপক হারে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। এদিকে বর্ষণ অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা দুই দিনের ভারি বর্ষণে বান্দরবান জেলা সদর, নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামা উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। বন্যা দুর্গতরা আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে জেলা প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসন ও পৌর সভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। পাহাড়ের নিচে ঝুঁকিতে থাকা বনরুপার মুসলিম উদ্দিন জানান, ‘কয়েক বছর আগে আমি অনেক কষ্ট করে এ জায়গাটি কিনে পাহাড়ের জঙ্গল সামান্য ছাঁটাই করে ঘর তৈরি করেছি। প্রতি বছর বর্ষাতে আমি পরিবারকে নিয়ে ভয়ে ভয়ে রাত যাপন করি। পাহাড় প্রতি বছরই কম বেশি ধসে পড়ে। আমাদের এখানে বড় ধরনের সমস্যা না হলেও এবারের টানা বর্ষণে আমি পরিবার নিয়ে ভয়ে আছি। ইসলামপুরের বাসিন্দা ইসমাইলআলী জানান, ঝুঁকিতে আছি যে কোনো সময় পাহাড়ের মাটি এসে পড়তে পারে মাথার ওপর। বান্দরবানের মৃত্তিকা কর্মকর্তা মাহাবুব আলম জানান, পাহাড়ের মাটিগুলো অম্ল প্রকৃতির অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে মাটির ওপরের অংশ ক্ষয়ে যায়। পানি মাটির গভীরে প্রবেশ করে ড্রেনের সৃষ্টি করে। এতে মাটির ভিত সরে যায়। ফলে পাহাড় ধসে পড়ে। এ ছাড়া পাহাড় কাটা, জুমচাষ, নির্বিচারে বৃক্ষ কর্তন ইত্যাদি কারণে পাহাড়ের মাটি দুর্বল হয়ে যায়। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে এক সময় মাটি ধসে পড়ে।

জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হচ্ছে। তাদের সরিয়ে নিতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্টরাও কাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর রয়েছে প্রশাসন।

সর্বশেষ খবর