মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে প্রাইভেট ক্লিনিক

আফজাল, টঙ্গী

ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে প্রাইভেট ক্লিনিক

টঙ্গীতে ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নগরীর বিভিন্ন স্থানে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট  ক্লিনিক বসিয়ে  সেবার নামে প্রতারণা করে চুটিয়ে ব্যবসা করছে। আর এসব ক্লিনিকে আসা রোগীরা ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে প্রতিনিয়ত। অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গাজীপুর সিভিল সার্জন কর্তৃক ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট ক্লিনিকের সংখ্যা বেড়েই চলছে। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের  ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট ক্লিনিক। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ননীতির কোনো তোয়াক্কা না করে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ক্লিনিকের মূল ফটকে নামি দামি চিকিৎসকের নামের সাইনবোর্ড টানিয়ে দেদার চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ক্লিনিক ব্যবসা। এরমধ্যে টঙ্গীর সিলমুন, টিঅ্যান্ডটি, স্টেশন রোড, টঙ্গী বাজার, চেরাগ আলী, কলেজ গেট, দত্তপাড়া,  হোসেন মার্কেট, মুদাফা, গাজীপুরা শাতাইশ, খাঁ-পাড়া, আউচপাড়া, মাঝু খান, মিরের বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র স্থানে ক্লিনিকে ও ডায়গনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। এসব ক্লিনিকে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নেই স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক ছাড়পত্র, নেই পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা, নেই ফায়ার লাইসেন্সসহ নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও কোনো সমস্যাই মনে করছেন না কর্তৃপক্ষ। এসব প্রতিষ্ঠানের রয়েছে একদল দালাল। কোনো রোগী সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে এলেই ওইসব দালাল উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে নিজ নিজ প্রাইভেট ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে নিয়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, গাজীপুর সিভিল সার্জন কর্তৃক ব্যবস্থা না নেওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠান মালিকরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. জাহ্ঙ্গাীর আলম বলেন, সরকারি হাসপাতাল ঘেঁষে ডজনখানেক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার  রয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের দালালরা সরকারি হাসপাতালে রোগী এলে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান বলেন, গত বছর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। গাজীপুরে তিন শতাধিক বৈধ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর বাইরে অবৈধ কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর