শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

খানাখন্দে যান চলাচলের অনুপযোগী সড়ক

২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি বর্তমানে বেহাল

রাহাত খান, বরিশাল

খানাখন্দে যান চলাচলের অনুপযোগী সড়ক

ভাঙা রাস্তায় শাপলার বিল যেতে পর্যটকদের ভোগান্তি। উজিরপুর-গোপালগঞ্জ সড়কের কালবিলা এলাকা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বরিশালের উজিরপুর থেকে আগৈলঝাড়া হয়ে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত সড়কে খানাখন্দে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের দুরবস্থার কারণে প্রায় এক মাস আগে বন্ধ হয়ে গেছে বরিশাল-সাতলা রুটের বাস। বিশেষ করে উজিরপুরের শাপলার বিল যেতে ওই সড়ক পাড়ি দিতে  ভোগান্তির শেষ নেই পর্যটকদের। ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মো. জামাল উদ্দিন বলেন, এই সড়কের উজিরপুর অংশের ২৭ কিলোমিটারের মধ্যে ১৬ কিলোমিটার সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এখন দরপত্র মূল্যায়ন করে ঠিকাদার নির্বাচন করা হবে। বাকি ১১ কিলোমিটার আপাতত এলজিইডি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মেরামত করবে। গোপালগঞ্জ এবং শাপলার বিল যেতে সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় দুই পাশ প্রশস্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানান শরীফ মো. জামাল উদ্দিন। জানা যায়, বরিশালের উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলাসহ আশপাশের এলাকা থেকে আগৈলঝাড়া হয়ে গোপালগঞ্জ যাওয়ার জন্য সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়কের উজিরপুর অংশের ২৭ কিলোমিটারের অবস্থা খুবই খারাপ। যানবাহন চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ সড়কে হেঁটে চলাও দুরূহ। সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকায় বরিশাল থেকে সাতলা রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভ্যানচালক রহিম মিয়া। বরিশালের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র উজিরপুরের শাপলার বিল যেতে এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। ভাঙা সড়কের কারণে শাপলার বিল যেতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকে। শাপলার বিলে আসা পর্যটক শহীদুল ইসলাম বলেন, বরিশাল থেকে শাপলার বিলের দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। এই পথ যেতে সময় লাগে তিন ঘণ্টার বেশি। বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাবেক সভাপতি কাজল ঘোষ বলেন, সড়কে কষ্টের কথা ভেবে অনেকে শাপলার বিল দেখার আগ্রহ হারাচ্ছেন। শাপলার বিলে পর্যটক বাড়াতে অবিলম্বে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, বরিশালের উজিরপুর থেকে আগৈলঝাড়া হয়ে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত সড়কে খানাখন্দে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ মারিয়ে চলাচল করছে। এনজিও কর্মী দিলারা বেগম বলেন, সংস্কার না করায় এ সড়কে প্রতিদিন কর্মজীবী নারীদের বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর