চালসহ সব দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিতে যখন নিম্নআয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে তখনই কার্তিকের আগাম ধান কৃষকের মুখে মঙ্গা জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। অগ্রহায়ণ মাস আসতে এখনো কিছু বাকি। চলছে কার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ। এক সময় এই মাসেই লালমনিরহাটের ঘরে ঘরে হানা দিত মঙ্গার ভয়াল থাবা। কিন্তু কালের বিবর্তনে সব কিছুই যেন পাল্টে গেছে। এখন আর অগ্রহায়ণ মাসের অপেক্ষা নয় আগাম জাতের ধান চাষ করে এ অঞ্চলের কৃষক আশ্বিন-কার্তিক মাসেই মঙ্গা জয় করতে শিখেছেন। চলতি মাসেই লালমনিরহাটসহ রংপুর বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন এলাকায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। এসব ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হওয়ায় কৃষকদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক। কৃষকদের ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে কৃষক বধূরাও থেমে নেই। ধান কেটে বাড়ি আনার পর ধান মাড়াই, শুকিয়ে ঘরে তোলা- এ কাজ করছেন কৃষকবধূ ও মেয়েরা। আগাম আমন ধানের ফলনও হয়েছে ভালো। কৃষকরা বলছেন, আগাম আমন চাষে মঙ্গা উধাও হয়ে গেছে। ধানের দাম ভালো থাকায় চাষিদের মনও উৎফুল্ল। অপরদিকে মজুরি বেশি থাকায় কৃষি শ্রমিকরা রয়েছেন চাঙা। ধান কাটা ও মাড়াই করতে কৃষি শ্রমিক পাওয়াই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। দিন হাজিরায় আড়াই থেকে ৩০০ টাকা দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। চলতি আমন মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের আট জেলায় ১২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে উৎপাদন ধরা হয়েছে ৩৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯৬৩ মেট্রিক টন চাল। এর মধ্যে আগাম জাতসহ হাইব্রিড চাষ হয়েছে প্রায় ৬ লাখ হেক্টর জমিতে যা মোট আবাদি জমির ৪৩ শতাংশে। এবারের আমন আবাদের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। প্রথম থেকেই কৃষকের মধ্যে ছিল শঙ্কা। প্রথমত, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়া, দ্বিতীয়ত অকালবন্যা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকের মাথায় হাত পড়ে। আমনের যে টার্গেট তারা করেছিল, তা পূরণ না হওয়ার শঙ্কাই দেখা দেয়। বর্ষাকাল পেরিয়ে যাওয়ার পর আকাশে কালো মেঘের আনাগোনায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। তারপর বন্যার আঘাত। সবকিছু মোকাবিলা শেষে মাঠ ঘুরে দেখা যায় আমনের ফলন এবার ভালোই হবে। তবে বিভিন্ন আগাম আমনের জাত যে এখন ৭৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ফলন দিতে পারে, তা অবাক করে দিয়েছে কৃষকদের। দিন মাস বছর যতই পার হচ্ছে, ততই যেন নতুন নতুন আগাম জাতের আমন ধান কৃষককে উজ্জীবিত করছে। কৃষকরা জানান, তিন বছর আগেও এক একর জমির ধান কাটা ও মাড়াই করতে এক থেকে দেড় হাজার টাকা লাগত। এবার প্রায় তিন গুণ বেশি মজুরি দিতে হচ্ছে। অপরদিকে দিন হাজিরায় যেসব শ্রমিক কাজ করতেন, তাদেরও মজুরি দ্বিগুণ হয়েছে। দু-তিন মৌসুম আগে ১০০ টাকায় যে শ্রমিক দিন হাজিরায় কাজ করতেন, এবার তারা ২৫০ টাকার নিচে কাজ করছেন না। কোনো কোনো স্থানে তিন বেলা খাওয়াসহ ৩০০ টাকা হাজিরা পাচ্ছেন।
শিরোনাম
- রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
- ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
- ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
- নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
- যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
- রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
- ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
- বন্দর রক্ষায় হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
- পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
- একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
- রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- ‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
- ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
- ধানের শীষে দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে: দুলু
- ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ৪৩৬ জন
- যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
- এমন ভূমিকম্প আগে কখনও অনুভব করিনি : ফারুকী
- ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশনা
কার্তিকের ধানে মঙ্গা জয়ের হাসি
রেজাউল করিম মানিক, লালমনিরহাট
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর