নওগাঁর রানীনগরে চলতি আমন মৌসুমে ধানের জমিতে সঠিকভাবে পানি সেচ না দেওয়ায় প্রায় ৫০ বিঘা জমির ধান নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গভীর নলকূপ মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিএমডিএ এবং কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। জানা গেছে, উপজেলার বেলঘড়িয়া মৌজায় ৯৫ ও ৯৬ দাগে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে প্রায় ১৩০ বিঘা ধানের জমিতে পানি সেচ দেওয়া হয়। গভীর নলকূপটির অপারেটর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন একই এলাকার খাগড়া গ্রামের সাহান মহুরীর স্ত্রী বেবি খাতুন। বেবি খাতুনের আওতায় পানি সেচের দায়িত্বে রয়েছেন বেলঘড়িয়া গ্রামের সুকদেব ও স্বপন নামে দুই ব্যক্তি। কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, গভীর নলকূপ স্থাপনের পর থেকে প্রায় প্রতিটি মৌসুমেই পানি সেচের টাকা নিলেও সঠিকভাবে ধানে পানি সেচ দেওয়া হয় না। ফলে পানি অভাবে তুলনামূলকভাবে ধানের ফলন কমে যায়। চলতি আমন মৌসুমে শেষের দিকে অনাবৃষ্টি ও খড়ায় ধানের জমি শুকিয়ে যায়। প্রতি বিঘা জমিতে পানি সেচ দিতে এক হাজার টাকা করে মূল্য ধরেছেন গভীর নলকূপে দায়িত্বরতরা। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী পানি সেচ দেয়নি। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা গভীর নলকূপের মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক, আলেফ হোসেন ও বজলুল হক জানান, পানির জন্য দায়িত্বে থাকা লোকজনকে বার বার বলেও জমিতে সঠিকভাবে পানি সেচ দেয়নি। ফলে পানির অভাবে ওই স্কিমের মধ্যে প্রায় ৫০ বিঘা আতব ধানের জমির মাটি ফেটে গেছে। ধানের শীষ মরে সাদা হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। যেখানে বিঘা প্রতি প্রায় ১২/১৪ মণ হারে ফলন হওয়ার কথা। সেখানে হয়তো ২/৪মণ হারে ধান হতে পারে। আমরা এর ক্ষতিপূরণ ও সঠিক বিচার দাবি করছি। গভীর নলকূপের অপারেটর বেবি খাতুন বলেন, নলকূপ আমার নামে আছে কিন্তু পানি সেচ বা সবকিছু করে বেলঘড়িয়া গ্রামের সুকদেব ও স্বপন। সেখানে কি হয়েছে এটা সঠিক বলতে পারব না। পানি সেচের দায়িত্বে থাকা সুকদেব বলেন, কৃষকরা যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। ব্লাস্ট রোগে স্কিমের মধ্যে বেশ কিছু জমির ধান নষ্ট হয়েছে। উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী গোলাম ফারুক বলেন, পানি সেচের অভাবেই যদি কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন। তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিরোনাম
- ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে : ডা. জাহিদ
- ‘আরবান ট্রি মিউজিয়াম’, ‘বৃক্ষ সেবা ও ছাদবাগান সহায়তা কেন্দ্র’ গড়ে তুলছে ডিএনসিসি
- রংপুরে বেড়েছে খড়ের কদর, লাভবান কৃষক
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭৪৮
- জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ২২ ডিসেম্বর
- পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়
- উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
- ওয়ারীতে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে ফের পুরস্কার ঘোষণা
- বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রবাসী ভোটার আবেদন তদন্ত করতে বলল ইসি
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি
- সরাইলে পুলিশের কাছ থেকে যুবলীগ নেতাকে ছিনতাই
- আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ইউনিসেফ প্রতিনিধির সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- ৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের
- বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান
- তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি
- আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম
- শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে রাশিয়া
- খসড়া টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ওটিটি ও সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বিধান
সেচ না দেওয়ায় ৫০ বিঘা জমির ধান নষ্ট
বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর