গত বছর অধিক দামে আলু বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় এবার দিনাজপুরের কৃষকরা দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে আলু চাষ করেন। কিন্তু আলুর ফলন গত মৌসুমের চেয়ে ভালো হলেও দাম না পেয়ে হতাশ চাষিরা। চাষাবাদে খরচ বৃদ্ধি পেলেও মাঠে কিংবা হাটে মিলছে না কাক্সিক্ষত দাম। আলুর বাজারে দামে ধস নামায় চাষিদের মুখে হাসি নেই। বাজার দরে হতাশা কাজ করছে তাদের মধ্যে। তবে কৃষকরা যদি দেশীয় পদ্ধতিতে বাড়িতেই ৩ থেকে ৪ মাস আলু সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন, তাহলে লাভবান হবেন বলে জানায় কৃষি বিভাগ। গত বছর চাষিরা এসময় প্রতি কেজি আলু মাঠেই বিক্রি করেছিলেন ২০-২৫ টাকা দরে। এবার সেই আলু খেতে বিক্রি হচ্ছে ৬-৭ টাকা কেজি দরে। যদিও দিনাজপুর শহরের খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ১২-১৫টাকায়। এখন আগাম জাতের গ্রানোলা, ফ্রেশ, ক্যারেজ, রোমানা পাকরি এবং বট পাকরি আলু বেশি তোলা হচ্ছে। অন্যদিকে আলু রোপণও চলছে। এখন যেসব আলু রোপণ হয়েছে এসব আলু কোল্ডস্টোরেজে সংরক্ষিত রাখার জন্যে। বর্তমানে আলুর বাজার নিম্নমুখী। অনেক হিমাগারে এখনো পুরাতন আলু মজুদ আছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই হিমাগারের সংরক্ষিত আলু শেষ হলে নতুন আলুর চাহিদা ও দাম দুই বৃদ্ধি পাবে বলে ব্যবসায়ীরা বলছেন। ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের পাঠকপাড়া গ্রামের আগাম জাতের আলুচাষি নিপিন চন্দ্র রায়, দীলিপ চন্দ্র দাস, নবাব আলী শাহ ও বাবলু মিয়া বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর বাজার প্রতি মণে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমে গেছে। এভাবে কমতে থাকলে আগামী সপ্তাহে যারা আলু তুলবেন তাদেরকে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। বুজরুক সমশের নগর গ্রামের আলুচাষি বাবলু মিয়া বলেন, এবার ১৫ শতক জমিতে আগাম ক্যারেজ জাতের আলু চাষ করেছেন। রোপণের ৫৮দিন বয়সে আলু তুলেছি। জমিতে বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ৬৫ মণ। গোয়ালপাড়া গ্রামের আলুচাষি পরিক্ষিত চন্দ্র রায় বলেন, ৪৫ শতক জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছে। আলুর ফলন হয়েছে ৬৬ মণ। ৪৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে। আলুর পাইকারি ক্রেতা উজ্জ্বল কুমার, নবিউল ইসলাম ও কালু দত্ত বলেন, বাজারে এখন আগাম জাতের আলু উঠছে। এসব আলু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মোকামে সরবরাহ করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ পরে আলুর দাম বাড়তেও পারে। আবার কমতেও পারে। ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, বর্তমানে আলুর বাজার নিম্নমুখী। হিমাগারগুলোতে এখনো আলু মজুদ আছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই হিমাগারে সংরক্ষিত আলু শেষ হলে নতুন আলুর চাহিদা ও দামও দুই-ই বৃদ্ধি পাবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, এবার দিনাজপুর জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৪৮ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে নির্ধারণ করা হয়। এখনো অনেকেই আলু রোপণ করছেন, ফলে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত জমিতে আলু চাষাবাদ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আর প্রতি হেক্টরে আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২৩ দশমিক ৭৭ মে. টন। এ পর্যন্ত আলু রোপণ হয়েছে ৪৬ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে।
শিরোনাম
- ট্রাম্পের লক্ষ্য: আফগান-পাকিস্তান সংঘাত সমাধান হবে ‘নম্বর ৯’
- ওমানে নিহত সাত প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরল
- অ্যাপল উন্মোচন করলো নতুন আইপ্যাড প্রো এম৫
- আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলা: অন্তত ১০ নিহত, যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ
- ৪৫ বছর ছদ্মবেশে বিলাসী জীবন, অবশেষে বিচারের মুখে গুম-খুনের হোতা গোয়েন্দাপ্রধান
- কার্গো ভিলেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে : বিমান মন্ত্রণালয়
- ঢাকার ৪ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
- ভারতে ২৪ ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির গণ-আত্মহত্যার চেষ্টা, নেপথ্যে যা...
- অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার প্রমাণ মিললে দৃঢ় পদক্ষেপ : অন্তর্বর্তী সরকার
- নানা অনিয়মে বিএনপির সাত হাজার নেতা-কর্মী বহিষ্কার: মামুন মাহমুদ
- ফ্লাইট বিপর্যয়, চরম ভোগান্তিতে শত শত যাত্রী
- মোংলায় বিএনপির ৩১ দফা ও মাদকবিরোধী আলোচনা সভা
- রাঙামাটিতে ভারবোয়াচাপ বিহারে ২৯তম কঠিন চীবর দান সম্পন্ন
- উত্তরায় নিরাপত্তা জোরদার, মোতায়েন ৫ হাজারেরও বেশি পুলিশ
- ‘এলডিপি জনগণের রাজনীতি করে, ক্ষমতার নয়’
- মিরপুরের ধীরগতির পিচে জয় বাংলাদেশের
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনবে: তারেক রহমান
- জনগণের বিশ্বাস এসব অগ্নিকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত : মির্জা ফখরুল
- সুজন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার নতুন কমিটি গঠন
আলুর দামে হতাশ চাষি
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর