শিরোনাম
শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

কম দামে ওএমএসের চাল নিতে দীর্ঘ লাইন

হিলি প্রতিনিধি

কম দামে ওএমএসের চাল নিতে দীর্ঘ লাইন

বাজারে চালের দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সারা দেশের ন্যায় দিনাজপুরের হিলিতে খোলা বাজারে ওএমএসের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি চাল বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাজারের চেয়ে অর্ধেক মূল্যে চাল পাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষজনের ভিড় বাড়ছে ওএমএস ডিলারের দোকানে। কম দামে চাল কিনতে পেরে দারুণ খুশি এসব মানুষ আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির দাবি জানিয়েছেন তারা। চাল নিতে আসা আবদুর রাজ্জাক বলেন, চাল-ডাল তেল নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচা পণ্যসহ সবকিছুর দাম বেশি। যার কারণে আমাদের মতো দিনমজুর মানুষদের জীবন চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গরিব মানুষের খাওয়ার মোটা চালও ৫০ টাকা। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মতো মানুষদের কথা ভেবে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছেন, এতে আমাদের বেশ সুবিধা হয়েছে। চাল নিতে আসা আবদুল খালেক বলেন, ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়ে ৩০ টাকা কেজি দরে আমরা যে চালটা পাচ্ছি সেটাতে আমাদের খুব সুবিধা হয়েছে। যেই চাল বাজারে কিনতে গেলে আমাদের ৫৫ টাকা লাগত সেই চাল আমরা এখানে ৩০ টাকায় পাচ্ছি। এতে আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে, সেই সঙ্গে টাকাও সাশ্রয় হচ্ছে। সেই টাকা দিয়ে তরিতরকারি কিনতে পারছি, এতে অন্তত ডাল-ভাত খেয়ে-পরে চলতে পারছি। চাল নিতে আসা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি একজন ভ্যানচালক। আমার পরিবারে ৫ জন খানেওয়ালা রয়েছে। সারা দিনে আমার পরিবারের ৪/৫ কেজি চাল লাগে। কিন্তু সারা দিনে যে আয় হয় আর বাজারে যে চালের দাম তাতে চাল কিনলে তরকারি হয় না আর তরকারি কিনলে চাল হয় না এমন অবস্থা হয়েছে আমাদের। বর্তমানে ৩০ টাকা কেজি দরে ওএমএসের চাল বিক্রয় শুরু হয়েছে। এতে করে আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। এর সঙ্গে যদি আরও আটাসহ অন্যান্য পণ্য দেওয়া হতো তাহলে আমাদের জন্য আরও বেশি ভালো হতো। চাল নিতে আসা গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, বাজারে চালের দাম বেশি। সেখানে শেখ হাসিনার সরকার কম দামে আমাদের ৫ কেজি করে চাল দিচ্ছে। এতে আমাদের মতো মানুষদের জন্য বেশ উপকার হয়েছে। চাল নিতে আসা রাশেদা বেওয়া বলেন, বাজারে তেল-চিনি ডালসহ চালের দাম খুব বাড়তির দিকে। আমরা তো গরিব মানুষ আয় রোজগার কম, যার কারণে আমাদের মতো মানুষদের সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার এখন ৩০ টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছে, যার কারণে আমরা এই চাল কিনতে এসেছি। কম দামে চাল কিনতে পারছি এটা আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। হিলি বাজারের ওএমএস ডিলার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সারা দেশের ন্যায় হিলিতে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস-এর চাল বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সপ্তাহে পাঁচ দিন করে এই চাল বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। যে কোনো নাগরিক তার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ও টিসিবি কার্ডধারী ব্যক্তিরা সেই কার্ড দেখিয়ে ডিলার পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন ৫ কেজি করে চাল ক্রয় করতে পারবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর