সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে বদলে যাবে মোংলা বন্দর

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে বদলে যাবে মোংলা বন্দর

মোংলা বন্দর আধুনিকায়নে ৬ হাজার ১৪ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে দেশের দ্বিতীয় এ সমুদ্র বন্দরটি। আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট নামে এ প্রকল্পের মধ্যে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, কনটেইনার হ্যান্ডেলিং ইয়ার্ড নির্মাণ, কনটেইনার ডেলিভারি ইয়ার্ড নির্মাণ, সিকিউরিটি সিস্টেমসহ সংরক্ষিত এলাকা সম্প্রসারণ, সার্ভিস ভেসেল জেটি নির্মাণ, আটটি জলযান সংগ্রহ, বন্দর আবাসিক কমপ্লেক্স এবং কমিউনিটি সুবিধাদিসহ ১৩টি সুউচ্চ ভবন, বন্দর ভবনের সম্প্রসারণ, মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ, যন্ত্রপাতিসহ স্লিপওয়ে ও মেরিন ওয়ার্কশপ কমপ্লেক্স নির্মাণ, দিগরাজে রেলক্রসিং ওভারপাস, মোংলা বন্দরের বিদ্যমান সড়ক ছয় লেনে সম্প্রসারণ ও বহুতল কার ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। মোংলা বন্দরের এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রকল্প সাহায্য রয়েছে ৪ হাজার ৪৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ২০২৪ সালের ৩০ জুলাই প্রকল্পটি শেষ হবে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বন্দরের সক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ইজিস ইন্ডিয়া কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ার্স প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, ৬ হাজার ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট নামে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইজিস ইন্ডিয়া কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ার্স প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে প্রকল্প চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা ও ইজিস ইন্ডিয়া কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ার্স প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সন্দ্বীপ গুলাটি চুক্তিতে সই করেন। প্রকল্প চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও ইজিস গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লরেন্ট জারমেইন। বন্দর চেয়ারম্যান আরও জানান, এ মেগা প্রকল্পের প্রধান অংশের মধ্যে রয়েছে কনটেইনার ইয়ার্ড, কনটেইনার জেটি- বিল্ডিং অ্যান্ড আদার স্ট্র্যাকচার, হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট, ইউটিলিটি ওয়ার্কস, কনটেইনার ডেলিভারি ইয়ার্ড নির্মাণ ও ১৩টি সুউচ্চ আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। আমরা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।

সর্বশেষ খবর