বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

কুষ্টিয়ায় চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট সিএনজি-মাহেন্দ্র চালকদের

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট সিএনজি-মাহেন্দ্র চালকদের

কুষ্টিয়ার কুমারখালী সিএনজি-মাহেন্দ্র মালিক সমিতির সভাপতি আজিজ শেখ ও সাধারণ সম্পাদক শফির বিরুদ্ধে প্রায় তিন বছর ধরে সমিতির লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অর্থ আত্মসাতের প্রতিবাদে ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে প্রায় ১৪৮ জন চালক গতকাল সকাল থেকে গাড়ি বন্ধ রেখে পৌরসভার জামতলা নামক স্থানে ধর্মঘট শুরু করেন। দুপুর দেড়টার দিকে কুমারখালী থানার ওসি মহাসীন হোসেন গিয়ে চাঁদা আদায় বন্ধ রাখার ঘোষণাসহ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। চালকরা জানান, সমিতিতে প্রায় ১৯৪টি সিএনজি ও মাহেন্দ্র গাড়ি রয়েছে। সড়কে গাড়ি চালাতে কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের জন্য প্রতি মাসে ১৮ হাজার, গাড়ি নিয়ন্ত্রণে চারজন শ্রমিকের জন্য প্রতিদিন গাড়িপ্রতি ২০-৩০ টাকা, নতুন গাড়ি বাবদ ৫ হাজার ও পুরনো গাড়ি ভর্তি বাবদ ৩ হাজার করে টাকাসহ বিভিন্ন খাতে চাঁদা তোলা হয়। সব মিলে প্রতি মাসে চাঁদার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৫-৬০ হাজার। প্রতি মাসের খরচ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট টাকা সমিতির ব্যাংক হিসাবে জমা রাখার কথা। কিন্তু সভাপতি-সম্পাদক টাকা ব্যাংকে জমা না রেখে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। টাকার হিসাব চাইলে তারা চালকদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। চালকদের অভিযোগ অস্বীকার করে কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি দেবব্রত রায় মুঠোফোনে জানান, তারা কারও কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেন না। সড়কে অবৈধ যান চললেই আটক করে মামলা দেয় পুলিশ। প্রতিদিনই ১০-১৫টি মামলা রুজু হয় বলে জানান তিনি। কুমারখালী থানার ওসি মোহসীন হোসাইন বলেন, কমিটির সদস্যদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে চালকরা ধর্মঘট শুরু করেছিলেন। জনদুর্ভোগ নিরসনে তাদের সঙ্গে কথা বলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আপাতত চাঁদা তোলা বন্ধ থাকবে। চালকদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর