সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

কুমিল্লায় মেশিনে লাগানো ধানে হাসছে মাঠ

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লায় মেশিনে লাগানো ধানে হাসছে মাঠ

কুমিল্লায় ধানখেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কুমিল্লায় মেশিনে লাগানো ধানে হাসছে মাঠ। হাতের চেয়ে মেশিনে লাগানো ধান গাছে কুশির সংখ্যা বেড়েছে। ফলে ২০ ভাগ ফলন বাড়বে বলে মতামত কৃষি অফিসের। সূত্রমতে, কুমিল্লার ১১ উপজেলায় ৮০৩ কৃষক ৫৫০ একর জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে এবার বোরো চারা রোপণ করেন। এ ছাড়া বুড়িচং, লাকসাম ও সদর দক্ষিণ উপজেলায় সমলয় চাষাবাদের ব্লক প্রদর্শনীর অধীন ২৩৫ কৃষক আরও ১৫০ একর জমিতে চারা রোপণে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার করেছেন। চান্দিনা উপজেলায় ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার সহযোগিতায় ৩০ কৃষক ১৩ একর জমিতে চারা রোপণে নেমেছেন যন্ত্র নিয়ে। সবমিলিয়ে জেলায় ৭১৩ একর জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহয্যে রোপণ করা হয়েছে।

বুড়িচংয়ের মাশোরা গ্রামের কৃষক মাসুদ মিয়া, জাবেদ হোসেন ও কাজী আদিল উদ্দিন ইউসুফ বলেন, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে মাত্র ৩০ মিনিটে এক বিঘা জমি রোপণ করা যায়। খরচ হয় ১ হাজার টাকা। অন্যদিকে হাতে এক বিঘা জমিতে চারা লাগাতে পাঁচ শ্রমিক লাগে। খরচ ৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া সিডলিং ট্রেতে চারা তৈরি করলে এক বিঘায় ৫০ একর জমির চারা উৎপাদন সম্ভব। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহেদ হোসেন বলেন, এখানে ১২০ বিঘা জমিতে মেশিনে ধান লাগানো হয়েছে। আগে প্রতি কানিতে খরচ হতো আড়াই হাজার টাকা। এবার খরচ হয়েছে ১ হাজার। বুড়িচং কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বানিন রায় বলেন, একসঙ্গে বীজতলা করলে জমি কম লাগে। শ্রমিক খরচও কম। সময় বাঁচে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের বিভিন্ন উপজেলায় ৭০০ হেক্টরের বেশি জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধান আবাদ হয়েছে। এর সুবিধা হলো, একসঙ্গে লাগানো ও ফসল কাটা যায়। এতে উৎপাদন খরচ কমে আসে।

সর্বশেষ খবর